
নদিয়া: ফুল তোলায় অপবাদে নিগ্রহ। অপমানে আত্মঘাতী মহিলা। ঘটনায় গ্রেফতার আরও এক। সিভিক ভলেন্টিয়রকে কর্ম থেকে বহিষ্কার করা হল। সিভিক ভলেন্টিয়ের দাদা ও বৌদিকে গ্রেফতার করলে পুলিশ। গত সোমবার তার দাদাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ। সোমবার রাতে তার বৌদিকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার তাকে আদালতে পাঠায়। ধৃতের নাম কাজল করাতি। ধৃত ওই মহিলা সম্পর্কে সিভিক ভলেন্টিয়ারের বৌদি। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল দুই।
ধৃত মহিলাকে মঙ্গলবার রানাঘাট মহকুমার আদালতে তোলা হয়। শান্তিপুর থানা নৃসিংহপুর এলাকায় সিভিক ভলেন্টিয়র মিলন করাতিকে কাজ থেকে বসিয়ে দিয়ে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ওই মহিলাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া ও খুনের অভিযোগ রয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় সিভিক ভলেন্টিয়রের দাদা অসীম করাতি ও বৌদি কাজল করাতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি ১০৮ ধারায় ৩/৫ ধারায় মামলার রুজু করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, সিভিক ভলান্টিয়র অমিত করাতি মৃত মহিলার প্রতিবেশীরা। অভিযোগ, ওই মহিলা অমিতের বাড়ির গাছের ফুল তোলে। এরপর চোর অপবাদ দিয়ে ওই মহিলাকে কানধরে ওঠবস করিয়ে গাছে বেঁধে নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ। অপমানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন ওই মহিলা।
শনিবার ভোরে পরিবারের লোকেরা ওই মহিলার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। শান্তিপুর থানায় খবর দেওয়া হয়। অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়র শান্তিপুর থানায় কর্মরত ছিলেন। তাঁকে আপাতত কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।