শান্তিপুর: দোলের রাতে নাবালিকাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে গোয়ালঘরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগেই সরগরম নদিয়ার শান্তিপুর থানা এলাকা। জানা গিয়েছে, ঘটনার পর থেকেই নাবালিকার শরীরে অত্যধিক রক্তক্ষরণ হতে শুরু করে, ক্রমাগত তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে বলে অভিযোগ তার পরিবারের। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা ছিলেন তিনি। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ভোটের মুখে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপান-উতোরও শুরু হয়েছে ওই এলাকায়।
শান্তিপুর থানা এলাকার ঘটনা। জানা গিয়েছে, দোলের দিন সন্ধ্যায় নাবালিকার বাড়িতে তার বাবা-মা ছিলেন না। প্রায় ফাঁকাই ছিল গোটা বাড়ি। সেই সময় ওই যুবক নাবালিকাকে ডেকে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। পরে নাবালিকার আর্তনাদে ছুটে আসে পরিবারের লোকজন। তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় স্থানান্তরিত করা হয় কৃষ্ণনগরের শক্তিনগর হাসপাতালে। পরে রাতে কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে।
পরিবারের তরফে শান্তিপুর থানায় ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এরপরই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে শান্তিপুর থানার পুলিশ। অভিযুক্তের পরিবারের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। বিজেপির দাবি, ওই নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা বিজেপির একনিষ্ঠ কর্মী। শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি তথা বিজেপি নেতা চঞ্চল চক্রবর্তীর দাবি, যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তৃণমূল নেতার ছেলে। পরিকল্পনা করেই এই কাজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে রাণাঘাট সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক তপন সরকার এ বিষয়ে জানান, অভিযুক্ত যে দলেরই হোক না কেন, প্রশাসন প্রশাসনের মতো আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আইন সবার জন্য সমান বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।