
কালীগঞ্জ: উপনির্বাচনে বিপুল জয় এলেও কিশোরীর মৃত্যু ঘেঁটে দিয়েছে তৃণমূলের চেনা সমীকরণটা। কালীগঞ্জের ঘটনায় এবার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ জাতীয় মহিলা কমিশনের। নির্দেশ গেল কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশের সুপারের কাছে। বিজয় মিছিলে সকেট বোমা এলা কী করে? পুলিশ কেন খবর রাখল না? প্রশ্ন তুলছেন, জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান ডাঃ অর্চনা মজুমদার।
এদিন মৃত কিশোরীর বাড়িতে যান অর্চনা দেবী। সেখান থেকে ফেরার পথে গোটা ঘটনা নিয়ে দুঃখ প্রকাশও করেন। ক্ষোভের সঙ্গেই বলেন, “ক’দিন পর হয়তো ঘটনাটা চাপা পড়ে যাবে। কিন্তু যে মায়ের কোল খালি হল, তাঁর সারাজীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদটা সে বিনা দোষে হারাল শুধু একটা ভোটের উদযাপনের জন্য।” পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলে তিনি বলেন, “এটা পুলিশ দেখবে না কেন? নিশ্চয় গাফিলতি আছে। পুলিশের ইন্টালিজেন্স কী করছিল? আমি এসপিকে প্রশ্ন করেছি। ওনাকে উত্তর দিতে হবে। ”
সোমবার সকালে ভোট গণনা শুরু হতেই দেখায় বিরোধীদের পিছনে ফেলে তড়তড় করে এগিয়ে চলেছে তৃণমূলের প্রার্থী। বারবেলায় জয় নিশ্চিত হতেই বেরিয়ে পড়ে বিজয় মিছিল। সেই বিজয় মিছিল থেকেই সিপিএম সমর্থকদের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। বড় চাঁদঘর পঞ্চায়েতের মোলন্দা গ্রামে বাড়ি বছর দশের তামান্না খাতুনের। সোমবার দুপুরে বাড়ির উঠোনে দাঁড়িয়ে ছিল। তখনই সেখানে বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। তাতেই মৃত্যু হয় তামান্নার।