
নদিয়া: ভোর রাত থেকেই এক শিশুর কান্নার আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিলেন। কিন্তু শীতের রাতে ওতটা কেউ তোয়াক্কা করেননি। ভেবেছিলেন পড়শির বাড়ির বাচ্চা কাঁদছে। ভোর হতেই এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যের কাকার বাড়ির বাথরুমের সামনে মর্মান্তিক দৃশ্য। এক সদ্যোজাত তাঁর বাথরুমের দরজার সামনে পড়ে রয়েছে। আর তাকে পাহারা দিচ্ছে পথের সারমেয়রা। তাকে ঘিরে রেখেছিল রাতভর। নবদ্বীপের স্বরূপগঞ্জ পঞ্চায়েতের রেল কলোনি এলাকার ঘটনা। পুলিশকে উদ্ধার করে কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ভোর থেকেই বাচ্চাটার কান্নার আওয়াজ পাচ্ছিলেন তাঁরা। কিন্তু তাঁদের কেউ কেউ ভেবেছিলেন, হয়তো প্রতিবেশীর বাড়িতে কোনও বাচ্চা কাঁদছে। সকাল হতেই দেখা যায় স্থানীয় পঞ্চায়েত মেম্বারের কাকা রাধা ভৌমিকের বাড়ির বাথরুমের কাছে পড়ে আছে একটি সদ্যোজাত শিশু । এরপরেই তড়িঘড়ি তারা শিশুটিকে প্রথমে মহেশগঞ্জ হাসপাতাল নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
এই ঘটনায় নবদ্বীপ থানার পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে । পঞ্চায়েত সদস্য নির্মল ভৌমিক-সহ এলাকার বাসিন্দারা জানান, পাশ্ববর্তী এলাকার কেউ এই বাচ্চাটিকে রেখে যেতে পারে । যদিও এই ঘটনার পর সদ্যোজাত বাচ্চাটিকে চাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হচ্ছে।পুলিশ সূত্রে খবর তবে শিশুটির পরিচয় এখনও কিছুই পাওয়া যায়নি। গোটা ঘটনা তদন্তে নবদ্বীপ থানার পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দা দীনবন্ধু দেবনাথ বলেন, “আমাদের পাড়ার এক বৌদি বাচ্চাটাকে তুলে নিয়ে আসে। প্রাথমিক চিকিৎসাটুকু করেন। মাথায় রক্ত ছিল। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানিয়েছেন, দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে সদ্য বাচ্চাটি জন্ম নিয়েছে, তাতেই মাথায় রক্ত লেগে। আমাদের পাড়ায় অনেক শিয়াল আছে। তবে পাড়ার গলিতে কতগুলো কুকুর সবসময় পাহারা দেয়। শিয়ালও ঢুকতে পারে। ওরাই বাচ্চাটাকে ঘিরে রেখেছিল।”