
কল্যাণী: নন্দীগ্রামের নার্সের মৃত্যু হয়েছে সিঙ্গুরের নার্সিংহোমে। ট্রেনিং-এ যোগ দেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই উদ্ধার হয়েছে তাঁর ঝুলন্ত দেহ। আর সেই দীপালি জানার মৃত্যু ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে। শনিবার সকালেই পরিবারের দাবি মেনে দীপালির দেহ নিয়ে যাওয়া হল কল্যাণী এইমসে। মৃতার পরিবার চেয়েছিল, এইমস বা কমান্ড হাসপাতালে দীপালির ময়নাতদন্ত হোক। সেই দাবি মেনেই এদিন সকালে কলকাতা থেকে গ্রিন করিডর করে নিয়ে যাওয়া হয় নার্সের দেহ।
গত বৃহস্পতিবার সিঙ্গুরের একটি নার্সিং হোম থেকে উদ্ধার হয় দীপালির দেহ। আত্মহত্যা নয় বলেই দাবি করে নার্সের পরিবার। ইতিমধ্যেই ওই ঘটনায় নার্সিংহমের মালিক ও দীপালির প্রেমিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত নিয়ে শুক্রবার থেকে শুরু হয় জটিলতা। শুক্রবার হুগলি থেকে কলকাতায় আনা হয় দীপালির দেহ। আর সেই মৃতদেহের গাড়ির সামনেই শুরু হয়ে যায় দুই রাজনৈতিক দলের হাতাহাতি।
বিজেপি ও সিপিএমের মধ্যে মৃতদেহ নিয়ে কার্যত টানাটানি শুরু হয়ে যায়। এরপর কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে রাখা হয় দেহ। তবে দীপালির পরিবার দাবি করে, এইমস বা কমান্ড হাসপাতাল ছাড়া কোথাও তারা ময়নাতদন্ত করতে দেবে না। শনিবার সকালে সেই মতো গ্রিন করিডর করে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় কল্যাণীতে।
পরিবারের দাবি, ময়নাতদন্তের সময় একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে উপস্থিত থাকতে হবে, ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে। দীপালির ভাই অতনু মণ্ডল বলেন, “সরকারি পরিকাঠামোয় ভরসা করেছিলাম। কিন্তু কলকাতায় গিয়ে যা হয়েছে, যেভাবে সিঙ্গুর থেকে দেহ টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কলকাতা মেডিক্যালে, তারপর আর ভরসা রাখতে পারিনি।” শুধু তাই নয় , সিবিআই তদন্তের দাবিও জানিয়েছে পরিবার।