
নদিয়া: বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকারের হাত ধরে সিএএ-তে (CAA) আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদনের এক সপ্তাহ পরেই হাতে পেয়ে গিয়েছিলেন নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট। আর ভারতীয় নাগরিক হতেই সটান যোগদান তৃণমূলে। আর তারপরই রাজনৈতিক জল্পনা তুঙ্গে। ভয় দেখিয়ে তাঁকে তৃণমূলে যোগ দিতে বাধ্য করানো হয়েছে, দাবি বিধায়ক অসীম সরকারের।
ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে নদিয়া জেলার হরিণঘাটা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকারের দ্বারস্থ হন নদিয়ার চাকদহ পুরসভার দু’নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শঙ্কর কুমার রায়। আইন সংক্রান্ত কাজের সঙ্গে যুক্ত তিনি। বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকারের হাত ধরেই CAA-তে আবেদন করেন তিনি। এরপর নাগরিকত্ব পেয়েও যান তিনি। পরবর্তীতে অসীমের নির্দেশে নিজের বাড়িতেই সিএএ ক্যাম্প বানান শঙ্কর। সেখানে আবেদন করে নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন আরও অনেক ব্যক্তি। কিন্তু ভারতীয় নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট পাওয়ার ঠিক সাত দিন কাটতে না কাটতে রবিবার তৃণমূলে যোগদান করলেন শঙ্কর।
গতকাল, অপরিকল্পিত SIR-এর প্রতিবাদ ও বাংলার ভোট রক্ষার স্বার্থে রবিবার সন্ধেয় চাকদহ রেল স্টেশন সংলগ্ন রথতলা LIC অফিসের সামনে তৃণমূল একটি প্রতিবাদ সভা করছিল। সেখানেই তৃণমূলের দলীয় পতাকা হাত তুলে নেন তিনি। তাঁর সঙ্গে আরও পাঁচ বিজেপি কর্মীর হাতে পতাকা তুলে দেন তৃণমূল নেতৃত্বরা। অসীম সরকার বলেন, “বিভিন্নভাবে ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। সিএএ আবেদন করার পর ওঁর বাড়ি থেকেই এরপর কম পয়সায় বাকিরা নাগরিকত্বের এই ফর্ম নেওয়া ও আবেদন করা শুরু করেন। এরপরই তৃণমূলের লোকজন ওকে হুমকি দিল। এটা বন্ধ করে দিতে হবে। আমায় শঙ্কর বলল কী করব? আমিই বললাম বন্ধ করে দাও। তখন ও বাড়ির সামনে লিখে দিল এখানে সিএএ-র কোনও কাজ করা হয় না। এই ঘটনার পর ও নাগরিকত্ব পায়। এটা বড় জয়। এরপর নিশ্চয় ওকে শাসিয়ে বলেছে তৃণমূলে যোগদান করো, নয়ত অবস্থা খারাপ করে দেব।” তবে শঙ্কর বলেন, “অসীম সরকারের হাত ধরে আবেদন করেছিলাম। নাগরিকত্ব পেয়েছিলাম। সিএএ-তে আবেদন করেছি মানেই তো বিজেপি নয়। আর তৃণমূলে এসেছি মাননীয়ার উপর ভরসা রেখে আর উন্নয়নের জোয়ার তৃণমূলে যোগদান করেছি। তৃণমূল আশ্বাস দিয়েছে আমার সঙ্গে থাকবেন।”