
কৃষ্ণনগর: হুঁশিয়ারি আগেই দিয়েছিলেন যাবেন। সেই মতোই মতুয়াদের একাংশ গেলেন থানায়। নালিশ করলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে। তাঁর করা মতুয়াদের নিয়ে মন্তব্যের অভিযোগে তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে কল্যাণী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মতুয়াদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, মতুয়াদের কাঠের মালা নিয়ে বিদ্রুপ মন্তব্য করেছে মহুয়া মৈত্র।
অল ইন্ডিয়া মতুয়া সংঘের সভাপতি অশোক বারুই বলেন, “মহুয়া মৈত্র কোন সমাজের মানুষ আমার জানা নেই। মতুয়ারা শান্ত-ভদ্র সমাজের মানুষ। তাঁরা সাধু-গোঁসাই। আমাদের হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদ ঠাকুর এসেছিলেন সমস্ত জাতিকে বাঁচাতে। শিক্ষার জন্য আন্দোলন করেন। তবে মহুয়া যা কথা বলেছেন, আমরা ধিক্কার জানাই। সেই কারণে আমরা কল্যাণী থানায় FIR করতে যাচ্ছি।”
সম্প্রতি, মতুয়াদের একাংশকে নিয়ে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ। তাঁর বক্তব্য ছিল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের দেওয়া ভাতা-প্রকল্পের সুবিধা প্রত্যেকেই গ্রহণ করে। তবে ভোটে এলে বিজেপিকে ভোট দেন তাঁরা। কৃষ্ণনগরের সাংসদ বলেন, “সারা বছর তৃণমূলী, আর ভোটের সময় সনাতনী। এগুলো কী অঙ্ক ভাই? এক-একটা SC বুথে আমরা হাজার টাকা লক্ষ্মীর ভান্ডার পেলে, SC-র মহিলারা ১২০০ টাকা পান। অথচ প্রতিটি এসসি বুথে-নমঃশূদ্র বুথে-মতুয়া বুথে ১০০টা ভোট গুনলে ৮৫টা বিজেপি, ১৫টা অন্য় পার্টি। বাপরে-বাপরে-বাপ। কাজের সময় মমতা, রাস্তার সময় মমতা। কাঠের মালা পরে ভাই সব তো চলে আসেন ভাতা নিতে তখন কী হয়? বাস্তব কথা বলছি আমি শুনতে খারাপ লাগে।” মহুয়ার এই মন্তব্যের পরপরই ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে সকলে। এমনকী, সুব্রত ঠাকুর থেকে তৃণমূল সাংসদ মমতা বালা ঠাকুর প্রত্যেকেই মহুয়া মৈত্রের এই বক্তব্যের নিন্দা করছেন। মহুয়াকে ক্ষমা চাইতেই বলেন তাঁরা।