রানাঘাট: বাংলাদেশ থেকে ডিজিটাল ভিডিয়ো মাধ্যমে সাক্ষ্যদান গ্রহণের পর অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করল আদালত। এমন ঘটনা রানাঘাট মহকুমার আদালতে এই প্রথম। এক নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড নির্দেশ দিল রানাঘাটা আদালত। অভিযুক্তর বিরুদ্ধে পোকসো আইনে মামলা রজু করা হয়। ঘটনার কিছুদিন পর নির্যাতিতারা চলে যায় বাংলাদেশে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আদালতের নির্দেশে সেখান থেকেই ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে এই সাক্ষ্যদান গ্রহণ করা হয়।
২০২০ সালে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। বুধবার ওই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ৭ বছরের সাজা শোনাল রানাঘাট আদালত। আদালত সূত্রে খবর, গত ২০২০ সালের জুন মাসের ২০ তারিখ রানাঘাট থানা এলাকার বাসিন্দা এক নাবালিকাকে একলা পেয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে তারই প্রতিবেশী এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সেই মামলায় নির্যাতিতার পরিবার রানাঘাট মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করলে রুপালি বন্দ্যোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে ঘটনার তদন্ত শুরু করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ঘটনায় ১১ জনের সাক্ষ্যদান হলেও নির্যাতিতা ও তার পরিবার বাংলাদেশে চলে যাওয়ায় মামলার নিষ্পত্তি হতে বিলম্ব হচ্ছিল। পরে রানাঘাট জেলা পুলিশের উদ্যোগে বাংলাদেশ পুলিশের সহযোগিতায় ভিডিয়ো কোনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে নির্যাতিতা ও তার পরিবার নিজেদের বয়ান রেকর্ড করান। আর এর পরই মঙ্গলবার অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত।
বুধবার অভিযুক্তকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালতের বিচারক সৌমেন গুপ্তা। যদিও আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী।