Nadia: মুহুর্মুহু মিসাইল পড়া চোখের সামনে দেখছেন তেহট্টের সঞ্জীব-সুজিতরা

Nadia: বেতাইয়ের বাসিন্দা গোস্টচরণ বিশ্বাস জানিয়েছেন, তাঁর দুই ছেলে বড় সঞ্জীব বিশ্বাস, ছোট সুজিত বিশ্বাস। ছেলেরা ফোন করে জানিয়েছে, যখন-তখন মিসাইল এসে পড়ছে। আর মিসাইল হামলার ঠিক দশ মিনিট আগে সকলের মোবাইলে অ্যালার্ম বাজছে।

Nadia: মুহুর্মুহু মিসাইল পড়া চোখের সামনে দেখছেন তেহট্টের সঞ্জীব-সুজিতরা
জ্বলছে ইরানের তেল ভাণ্ডার

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jun 22, 2025 | 7:05 PM

তেহট্ট: প্রতি মুহূর্তে বদলাচ্ছে পরিস্থিতি। কখন কী হয় বলা যায় না। সাইরেন বাজলেই ঢুকতে হচ্ছে বাঙ্কারে। ইজরায়েলে আটকে থাকা নদিয়ার তেহট্টের বাসিন্দা দুই ভাই এমনটাই জানালেন মা-বাবাকে। তবে শুধু তাঁরাই নন, সেখানে আটকে রয়েছেন বেতাই লালবাজারের সদানন্দ হালদারও। বেতাইয়ের বিথীকা ভক্তের স্বামী দেবরাজও রয়েছেন ইজরাইলে। জানা যাচ্ছে, বেতাই ১ নং ও ২ নং পঞ্চায়েত এলাকা থেকে প্রায় শতাধিক যুবক রয়েছেন সেখানে।

বেতাইয়ের বাসিন্দা গোস্টচরণ বিশ্বাস জানিয়েছেন, তাঁর দুই ছেলে বড় সঞ্জীব বিশ্বাস, ছোট সুজিত বিশ্বাস। ছেলেরা ফোন করে জানিয়েছে, যখন-তখন মিসাইল এসে পড়ছে। আর মিসাইল হামলার ঠিক দশ মিনিট আগে সকলের মোবাইলে অ্যালার্ম বাজছে। আর তখনই আন্ডারগ্রাউন্ডে থাকা অত্যাধুনিক বাঙ্কারে ঢুকতে হচ্ছে। গোস্টোচরণবাবু বলেন, “ছেলেরা ফোন করে জানিয়েছে কয়েকদিন তাঁরা বাঙ্কারের মধ্যেই আছে। খুব ভয় লাগছে। আতঙ্কের মধ্যে আছি। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি সকলে যেন সুস্থভাবে যেন বাড়ি ফেরেন।”

তিন মাস আগে ইজরায়েল গিয়েছেন বেতাই লালবাজারের সদানন্দ হালদার। তাঁর মা আদুরি হালদারও চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন। বলেন, “ঋণ নিয়ে ছেলেকে ইজরাইলে পাঠিয়েছিলাম। বর্তমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ছেলের জন্য দুশ্চিন্তায় আছি। বারে বারেই ছেলেকে হোয়াটসঅ্যাপ কল করে খোঁজ খবর নিচ্ছি।”

বেতাই-১ নং পঞ্চায়েত প্রধান শম্পা মণ্ডল জানান, প্রতিনিয়ত ইজরাইলে থাকা পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।