নদিয়া: অমানিক ঘটনা। বাড়ি থেকে বেরিয়ে কাজে যাওয়ার পথে কিডন্যাপ যুবতী। রাস্তা থেকেই মুখ গামছা বেঁধে অচৈতন্য করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। পরে জ্ঞান ফিরতে দেখেন মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া হয়েছে তাঁর। ইতিমধ্যে অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়। নদিয়ার শান্তিপুরের ঘটনা।
জানা গিয়েছে, এখনও ভয়ে-আতঙ্কে রয়েছে ওই যুবতীর পরিবার। এমনকী সংবাদ মাধ্যমের সামনেও মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছেন তাঁরা। নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে খবর, প্রতিদিনের মতো বাড়ি থেকে বেরিয়ে কাজে যাচ্ছিলেন ওই যুবতী। আচমকা চারদিক ঢাকা একটি টোটো তাঁর পথ আটকে দাঁড়ান। কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই কয়েকজন ব্যক্তি তাঁর মুখ বেঁধে দেয়। এরপর অচৈতন্য করে তুলে নিয়ে যায় তাঁকে।
যুবতী জানিয়েছেন, কয়েক ঘণ্টা পর জ্ঞান ফিরলে তিনি দেখতে পান একটি ঘরের মধ্যে বসে রয়েছেন। আশপাশে বসে আরও কয়েকজন মহিলা। তাদেরও মাথা ন্যাড়া অবস্থায় ছিল। এই ঘটনার পর এক যুবক নাকি ওখান থেকে বাড়ির কাছে এনে নামিয়ে দিয়ে যায় তাঁকে।
পরিবারের সদস্যরা তার শারীরিক পরিস্থিতি অবনতি দেখে তাঁকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। ওই যুবতীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানা পুলিশ। তবে কী কারণে কারনে বা কী উদ্দেশ্যে এই ঘটনা তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। তদন্তের পর বিষয়টি স্পষ্ট হবে। নির্যাতিতার আত্মীয় জানান, “বুঝতেই পারছি না কেন করল। ওর হাতে কোনও মলম লাগিয়ে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। এরপর চুল কেটে দেয়। এখন বলুন তো ২৯ বছরের মেয়েটা কী করবে?”