
নদিয়া: হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডে তৃণমূল নেতার ছেলে ব্রজ গোয়ালি-সহ ৩ জনকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে রানাঘাট আদালত। তৃণমূল নেতা সমর গোয়ালিকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে সহযোগিতা ও প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ রয়েছে। জেল হেফাজতে যাওয়ার পথে TV9 বাংলার ক্যামেরার সামনে সমর বললেন, “বিচারের বাণী নীরবে কাঁদে।” এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথাও বললেন তিনি। বললেন, “আমরা এবার উচ্চ আদালতে যাব। লড়াই এবার শুরু হবে।”
হাঁসখালি গণধর্ষণ ঘটনায় দোষীদের সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রানাঘাট আদালত থেকে সংশোধনাগারে নিয়ে যেতে যেতে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে। তখনই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি।
২০২২ সালের হাঁসখালির বুকে ঘটে যাওয়া এক নৃশংস ঘটনায় সারা রাজ্যে তোলপাড় ফেলে দেয়। এক কিশোরীকে জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। দীর্ঘক্ষণ নির্যাতনের পর তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ির সামনে ফেলে যাওয়া হয়। রাতভর বাড়িতে রক্তক্ষরণ হয় ওই কিশোরীর। তারপর রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। অভিযোগ, সেই মৃতদেহ মৃতের শংসাপত্র ছাড়াই দাহ করে দেওয়া হয়। বাড়ির লোকজনকে ভয় দেখিয়ে এই ঘটনা ঘটানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় নাম জড়ায় তৃণমূল নেতা সমরেন্দ্র গোয়ালির ছেলে ব্রজগোপাল অর্থাৎ সোহেলের।
ব্রজ ওরফে সোহেল গোয়ালি, রঞ্জিৎ মল্লিক ও প্রভাকর পোদ্দারকে আমৃত্যু কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধেই মূলত গণধর্ষণের অভিযোগ ছিল। সোহেলের বাবা সমর গোয়ালিকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে সহযোগিতা ও প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ রয়েছে। ৯ জনের মধ্যে একজন ঘটনার সময় নাবালক ছিলেন। তাঁকে আপাতত জামিনে রেখে নজরদারি করা হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।