
শান্তিপুর: স্কুল থেকে বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে চলে গিয়েছিল এক কিশোরী। একটি মাঠে বসে গল্প করার সময় স্থানীয় বাসিন্দারা ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয় দু’জনকে। পরে থানা থেকে কিশোরীকে বাড়ি নিয়ে আসে পরিবারের লোকজন। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল ওই কিশোরীর। মৃতের পরিবারের বক্তব্য, অপমানবোধে তাদের মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। ঘটনাটি নদিয়ার শান্তিপুর থানার গয়েশপুর পঞ্চায়েত এলাকার।
জানা গিয়েছে, বুধবার বছর চোদ্দোর ওই কিশোরী স্কুলে গিয়েছিল। কিন্তু, স্কুল থেকে সে বাড়িতে না এসে এক বন্ধুর সঙ্গে গয়েশপুর হাসপাতাল সংলগ্ন একটি মাঠে বসে গল্প করছিল। তখন ওই এলাকার বাসিন্দারা তাদের আটকে রাখে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ দু’জনকেই থানায় নিয়ে আসে। পরিবারের তরফে খবর পেয়ে থানায় গিয়ে ওই কিশোরীকে বাড়িতে নিয়ে আসে।
গতকাল ওই কিশোরীর বাবা প্রতিদিনের মতো কাজে বের হয়। সকালে যখন তার মা রান্না করছিল, সেই সময় ঘরে ঢুকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় কিশোরী। দীর্ঘক্ষণ সে ঘর থেকে না বের হওয়ায় সন্দেহ হয় বাড়ির সদস্যদের। তারপর দরজা ভেঙে দেখে, গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে কিশোরী। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। এরপর ওই কিশোরীর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়।
ওই কিশোরীর বাবা বলেন, “আগের দিনের ঘটনার পর গতকাল ওর মা ওকে স্কুলে যেতে দেয়নি। তারপরই এই ঘটনা ঘটে। বুধবার রাতে আমরা শান্তিপুর থানায় গিয়ে ওকে নিয়ে আসি। ওর মা বকাবকি করেছিল। সবাই ছি ছি করছিল। মানসম্মানে লাগায় আত্মহত্যা করেছে বলে মনে হচ্ছে।”