
নদিয়া: স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে শিক্ষিকা হওয়ার। সেই মতো পড়াশোনাও করেন তিনি। স্নাতক হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষকতার জন্য প্রয়োজনীয় কোর্স বিএড উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। চলছে ডিএলএড কোর্সও। তবে শিক্ষক হওয়া বোধহয় আর হল না! বর্তমান পরিস্থিতিতে এটাই ধরে নিয়েছেন নদিয়ার প্রেয়শী ঘোষ। তাই তাঁর কাছে অন্যতম বিকল্প হয়ে উঠেছে ফুচকা বিক্রি।
বছরের পর বছর বন্ধ রয়েছে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা। এরই মধ্যে ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরি বাতিল হয়েছে। এরই মধ্যে ফুচকা স্টল খুলে ফেলেছেন প্রেয়শী।
ছোট থেকেই দারিদ্র্যের মধ্যে বড় হয়েছেন অর্থাৎ প্রেয়শী ঘোষ। রানাঘাটের শালবাগান এলাকায় মামার বাড়িতে থাকতেন তিনি। অভাব অনটনের মধ্যে দিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এখনও পড়াশোনার সঙ্গে যুক্ত তিনি। বর্তমানে ডিএলএড করছেন তিনি।
প্রেয়শী জানান, তাঁর মামা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তারপর থেকে নিজেকেই দায়িত্ব নিতে হয়েছিল তাঁকে। ছোটদের নাচ শিখিয়েও তিনি অর্থ উপার্জন করতেন। কলেজে সংস্কৃত নিয়ে স্নাতক উত্তীর্ণ হওয়ার পর বিএড পাস করেন ২০১৮-২০১৯।
নাচ শেখানোর টাকায় আর সংসার চালাতে পারছেন না, তাই ফুচকার স্টল দিয়েছেন। দোকানের নাম দিয়েছেন ‘বিএড ফুচকা দিদি’।