
নদিয়া: ‘আবাস যোজনা’ প্রকল্পের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আগেই উঠেছিল। তারপর ওঠে কাটমানির। আর এবার ভিক্ষুকের কাছ থেকে আবাসের টাকার কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। শেষে ওই ভিক্ষুক মহিলা তৃণমূলের প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন স্থানীয় বিডিওর কাছে। তাঁর আবেদন, তিনি যেন কাটমানি ছাড়াই আবাস যোজনার টাকা পান। আর এই খবর চাউর হতেই এলাকায় নিন্দার ঝড়। প্রধানের স্বামীর অবশ্য দাবি, তিনি কিছুই জানেন না।একজন ভিক্ষুকের কাছ থেকেও কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ পেয়ে কটাক্ষ শুরু করেছেন বিরোধীরা। বস্তুত, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় গুচ্ছ-গুচ্ছ দুর্নীতির অভিযোগ আগেই এসেছিল। সেই অভিযোগের জেরে বাংলায় এই প্রকল্পের টাকা পাঠানো বন্ধ করে দেয় কেন্দ্র। টাকার জন্য বহুবার সংগ্রাম করেছে তৃণমূল। শেষে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন এই বাড়ির টাকা তিনি নিজেই দেবেন। প্রকল্পের নাম রাখেন ‘বাংলা আবাস যোজনা’। এবার সেখান থেকেও তাঁরই দলের কর্মীর বিরুদ্ধে উঠে এল মারাত্মক অভিযোগ। যদিও, অভিযুক্ত সব অস্বীকার করেছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে পলাশীর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। সেখানকার বাসিন্দা চন্দনা সর্দার। তিনি শারীরিকভাবে অক্ষম থাকায় এলাকায় ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন নির্বাহ করে। তাঁর অভিযোগ, ‘বাংলা আবাস যোজনা’ ঘরের টাকা অ্যাকাউন্টে ঢোকার পর এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান রুমা দাসের স্বামী সমর দাস তাঁর কাছ থেকে জোর করে সাত হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। এখানেই শেষ নয়, পরে আরও কুড়ি হাজার টাকা দাবি করেন বলে অভিযোগ। এরপরই চন্দনা কালীগঞ্জ ব্লক আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
যদিও অভিযুক্ত পক্ষের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। কালীগঞ্জ বিডিও অঞ্জন চৌধুরী বলেন, “সরকারি প্রকল্পের টাকায় এমন দুর্নীতির অভিযোগ কতটা সত্যি, তা খতিয়ে দেখছে প্রশাসন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হবে।” অভিযুক্ত ব্যক্তি বলেন, “এই বিষয়টা ভিত্তিহীন। ওরা তো গরিব। ভিক্ষা করে খায়। এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি।”