নদিয়া: ভোট (Panchayat Election 2023) ঘোষণার পর পেরিয়ে গিয়েছে ১৫ দিনের বেশি সময়। এদিকে মনোনয়ন জমা থেকে তোলা, সব পর্বেই জেলায় জেলায় ব্য়াপক অশান্তির ছবি সামনে এসেছে। অসমর্থিত সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত বাংলায় মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। এদিকে এরইমধ্য়ে শেষ মুহূর্তের প্রচারে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছে শাসক-বিরোধী সপপক্ষই। জেলায় জেলায় ঘুরছেন সব পক্ষের তাবড় তাবড় নেতারা। প্রায়শই আসছে বোমাবাজি, অশান্তির খবর। এরইমধ্যে এবার নদিয়া বিরোধী প্রার্থীদের বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠছে তৃণমূল (Trinamool Congress) আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।
প্রচারে বের হলে পরিবারের উপর হামলা করা হবে। অভিযোগ, দেওয়া হচ্ছে এই ধরনের হুমকিও। এদিনই চাপড়া থানার হাতিশালায় সিপিএমের প্রার্থী জুলেখা খাতুন ও কংগ্রেস প্রার্থী মোস্তাকিম শেখ বাড়িতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন সিপিএম প্রার্থী। আক্রান্ত কংগ্রেস প্রার্থী। খবর যায় পুলিশে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় চাপড়া থানার পুলিশ। এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, এদিন বাইকে করে এলাকায় আসে ১০ থেকে ১৫ জন যুবক। চলতে থাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি। খুনেরও হুমকি দেওয়া হয়েছে বিরোধী শিবিরের প্রার্থীদের। এলাকায় চাপা উত্তেজনা গোটা এলাকায়।
কংগ্রেস প্রার্থী মোস্তাকিম শেখ বলছেন, “সিপিআইএমের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীর বাড়িতে এদিন তৃণমূল নেতা আনারুল শেখ তাঁর দলবল নিয়ে এদিন হামলা চালিয়েছে। ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। ওই নেতা গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। আমরা আটকাতে গেলে আমাদের উপরেও হামলা হয়। প্রাণ ভয়ে আমরা ওখান থেকে পালিয়ে আসি।” যদিও তৃণমূল বলছে, সবই মাতালদের কাজ। স্থানীয় বিধায়ক রুকবানু রহমান বলছেন, “সবই ভুলভাল অভিযোগ। কিছু মাতাল আজ ওখানে গিয়েছিল টাকা চাইতে। তখনই ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। ওটাই ওরা আমাদের নামে লাগানোর চেষ্টা করছে। আমাদের দলের লোকেরা কিছু করেনি। আমাদের প্রার্থীর কাছেও ওই মাতালরা এসেছিল।”