শান্তিপুর: দিনের পর দিন এলাকার মহিলাদের কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ। শুধু তাই নয়, হুমকি, ভয় দেখানো, মিথ্যা কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে ওই পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে। একদিন নয়, অভিযোগ দিনের পর দিন এই কাজ করে আসছেন ওই স্বপন কুমার মণ্ডল নামে ওই পুলিশ কর্মী। তারই প্রতিবাদে এদিন ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার মহিলারা। শান্তিপুর পৌরসভার অন্তর্গত ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের রামনগর চর পুরাতন মাহাতো পাড়ায় বাড়ি ওই পুলিশ কর্মীর। এদিন সেখানেই লাঠি-ঝাঁটা নিয়ে চড়াও হন এলাকার মহিলারা। ওই পুলিশ কর্মীর ভাইকেও বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মুহূর্তেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে শান্তিপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে ওই পুলিশ কর্মীর পরিবারের চারজনকে আটক করে নিয়ে যায় শান্তিপুর থানার। যদিও অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীর পরিবারের সদস্যদের দাবি, তাঁরা বাড়ি কেনার পর থেকেই এলাকার লোকজন তাঁদের বাড়ি থেকে মাটি কেটে নিয়ে যায়। বিভিন্ন সময় নানা কারণে টাকাও চাওয়া হয়। তা না দেওয়াতেই তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। এদিনের ঝামেলা নাকি একটি জমি কেনাকে কেন্দ্র করে। যা নিয়ে ঝামেলা অনেকদিন থেকেই চলছিল। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।
যদিও এলাকার মহিলাদের অভিযোগ, পুলিশ হওয়ার প্রভাব খাটিয়ে এলাকার লোকজনের সঙ্গে সর্বদা দুর্বব্যহার করেন ওই পুলিশ কর্মী। ঝামেলা হলেই এলাকার অনেকেই মিথ্যা কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তারই প্রতিবাদে এদিন তাঁরা ওই পুলিশ কর্মীর বাড়িতে চড়াও হয়েছিলেন। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মী বলছেন, “কে ওদের কুপ্রস্তাব দেবে? এটা সাজানো ঘটনা। আমাদের জমিতেই ওরা কাউকে কাজ করতে দিতো না।” যদিও তাঁর দাবি উড়িয়ে পাড়ার এক মহিলা বলছেন, “সারাদিন খিস্তি-খামারি করে। কথা বললেই বলে আমি পুুলিশ।” আর এক মহিলা বললেন, “শুধু বলে অনেক টাকা দেব। কলাবাগানে এসো। তোমাদের অনেক টাকা হবে।”