
রানাঘাট: অংশ নিয়েছিলেন অপারেশন সিঁদুরে। আর তারপরই দীর্ঘ সেনা জীবনে ইতি। অবসর নিয়ে বাংলায় ফিরলেন বীর বিএসএফ জওয়ান। তাঁকে ঘিরে উচ্ছ্বাসের ছবি দেখা গেল গোটা গ্রামে। রানাঘাট ২ ব্লকের কীর্তিনগর এলাকার বাসিন্দা বিএসএফের ১২০ নম্বর ব্যাটালিয়নের কমান্ড ইন্সপেক্টার কৃষ্ণকান্ত হালদার। ৪২ বছরের কর্মজীবন শেষে অবসর গ্রহণের পর মঙ্গলবার তাঁর গ্রামের বাড়িতে ফেরেন। শুধু অপারেশন সিঁদুর নয়, এর আগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কার্গিল যুদ্ধেও অংশ নিয়েছিলেন।
রানাঘাটের কুপার্স ক্যাম্পের এই জওয়ান এদিন রানাঘাটে স্টেশনে নামতেই তাঁকে ঘিরে ভিড় জমান গ্রামের বাসিন্দারা। গলায় মালা পরিয়ে ভারত মাতা কি জয় স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। উল্টে তাঁদের অপারেশন সিঁদুরের জয়, সেনার বীরত্বের কাহিনী শোনান কৃষ্ণকান্ত।
স্টেশনে নেমেই কৃষ্ণকান্ত বলেন, “আপনারা কখনও ভয় পাবেন না। ২৪ ঘন্টা মাতৃভূমিকে রক্ষা করার জন্য আমরা দাঁড়িয়ে আছি বর্ডারে। খুলে খেতে হলে বুকে গুলি, পিঠে নয়। কখনও ভারতের ক্ষতি হতে দেব না। এই দেশ আমাদের দেশ।”
তাঁর দাবি, ভারতীয় সেনার বীরত্বের কাছে টিকতেই পারেনি পাক সেনা। ভারত যে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে তাতে খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছে পাকিস্তান। ভারতীয় সেনার প্রত্যাঘাতের কৌশল দেখে পিছু হটতে বাধ্য় হয়েছিল পাক সেনা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আক্রমণের ধার আরও বাড়িয়ে তিনি বলেন, পাকিস্তানি সেনারা কখনও সামনে থেকে লড়াই করে না। ওরা লুকিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে লড়াই করে। কিন্তু এবার সেনার রুদ্র মূর্তি দেখে ওরা ভয়ে থরথর করে কাঁপছিল।