নদিয়া: হাসপাতালের বেডে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন বৌমা। অনবরত হাত পাখা দিয়ে হাওয়া করে চলেছেন শাশুড়ি। বৌমার গায়ে হাত তোলার জন্য কিছু আগেই ছেলেকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে এসেছেন শান্তিপুরের ভবানী মণ্ডল। জানালেন, ছেলে ও বৌমা কাজের সূত্রে বেঙ্গালুরুতে থাকেন। ঠাকুমা মারা গিয়েছেন সম্প্রতি। তাই বাড়িতে এসেছেন। এরইমধ্যে রবিবার স্ত্রীর গায়ে গরম জল ঢেলে, গলায় ছুরি চালান বলে অভিযোগ। ভবানীদেবীর স্পষ্ট কথা, ছেলে যা করেছে অপরাধ। তাই তিনি পুলিশ ডেকে ছেলেকে ধরিয়ে দিয়েছেন। শান্তিপুর থানার নারায়ণচন্দ্রপুরের ঘটনা। রিমা মিস্ত্রি মণ্ডল নামে ওই যুবতীর কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
ভবানীদেবীর কথায়, ছেলে আদিত্য মণ্ডল বেঙ্গালুরুর একটি হোটেলে কাজ করেন। সেখানেই কাজ করেন বৌমা রিমাও। রিমা সুন্দরবনের মেয়ে। নিজেরাই দেখেশুনে বিয়ে করেছেন। আদিত্যর ঠাকুমা মারা গিয়েছেন। পারলৌকিক কাজে যোগ দিতে এসেছেন বউকে নিয়ে। সেসব কাজ মিটে গিয়েছে।
রবিবার বাড়ির মধ্যে সবাই মিলে একসঙ্গে বসে গল্প করছিলেন। ভবানীদেবীর কথায়, “আমার ছেলে আদিত্য নেশা করে। এর আগে নেশামুক্তি কেন্দ্রেও ছিল। ওরা নিজেরা দেখেশুনে বিয়ে করেছে। কী যে হল, কিছুই বুঝতে পারলাম না। বৌমা আমাদের সঙ্গে গল্প করে নিজের ঘরে যায়। তারপরই হঠাৎ চিৎকার। ছেলের সঙ্গে এর আগে কথা কাটাকাটি হয়েছে কি না কিছুই আমরা বুঝতে পারিনি।” অভিযোগ, ঘরে কফির জন্য গরম জল রাখা ছিল। প্রথমে রিমার গায়ে তা ঢেলে দেন আদিত্য। এরপর সামনেই থাকা একটি ছুরি স্ত্রীর গলায় চালিয়ে দেন বলে অভিযোগ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।