
কৃষ্ণনগর: এগারো বছরের সন্তানকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ। গ্রেফতার এক মহিলা বিএসএফ (BSF) কর্মী। মহিলার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অভিযোগ, এর আগে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল স্বামীর। পরকীয়ার জেরে ওই মহিলাই স্বামীকে খুন করেছেন। কিন্তু সে সময় গ্রেফতার করেনি পুলিশ। তবে বুধবার সন্তানকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ করলে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ধৃতকে কৃষ্ণনগর আদালতে তোলা হয়। অভিযুক্তকে বরখাস্ত করা হয়েছে চাকরি থেকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত মহিলার নাম মানসী বিশ্বাস। ২০১১ সালে সুপদ বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে হয় মানসীর। তাদের বছর এগারোর একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। সে থাকত বাবা সুপদর সঙ্গে। সুপদর পরিবারের দাবি, বিয়ের পর মানসী বিএসএফ-এ চাকরি করতে শুরু করেন। মালদহে পোস্টিং নিয়ে চলে যান তিনি। অভিযোগ সেখানে গিয়েই তিনি পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। প্রেমিক রঞ্জিত রায়ের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন তিনি।
এরই মধ্যে সুপদ ও তাঁর পুত্র মালদহে স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যায়। কিন্তু বিএসএফ ক্যাম্পে গিয়ে তিনি জানতে পারেন মানসী সেখানে থাকেন না। স্বামীর সঙ্গে আলাদা ভাড়া নিয়ে থাকেন। তখনই কার্যত মাথায় হাত পড়ে যায় মহিলার স্বামীর। এরপরই মানসীর ভাড়া বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। সেখানেই রঞ্জিতের সঙ্গে দেখতে পান। এরপর ক্যাম্পে ফিরে যান সুপদ। সেখানে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।
এরপরই সুপদের দিদি উন্নতি বিশ্বাস মালদা থানায় অভিযোগ করেন। বিএসএফ-এর কাছেও অভিযোগ জানানো হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মানসী ও রঞ্জিতকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। যদিও এই ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি বলে দাবি মৃত ব্যক্তির পরিবারের। পরবর্তীতে সুপদের সন্তানকে নিয়ে কৃষ্ণনগরের বাড়িতে চলে আসে তার পরিবার। বর্তামনে কৃষ্ণনগরের বিএসএফ ক্যাম্পে পড়াশোনা করছে সে।
সম্প্রতি এই খবর যায় মানসীর কাছে। বুধবার ছেলেকে ফিরিয়ে আনতে চায়। তবে শিশুটি মায়ের সঙ্গে থাকতে না চাওয়ায় তাঁকে খুনে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। মারধর ও ছেলেকে গলা টিপে খুনের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। এরপর সুপদের মা কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।