
কলকাতা: বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনাল ব়্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্ক-র তালিকা প্রকাশ করেন। চলতি বছরের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে ১৪ হাজার ১৬৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যার মধ্যে প্রতিটি তালিকাতেই এগিয়ে দেশের আইআইটি-গুলি। যাদের মধ্যে আবার শীর্ষে আইআইটি মাদ্রাজ।
প্রতিবছর এই তালিকার দিকেই তাকিয়ে থাকে শিক্ষামহল। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি এই তালিকার মাধ্যমে নির্ধারণ করে নিজেদের উৎকর্ষ মান। অন্যদিকে পড়ুয়া মহল নির্বাচন করেন, তাদের স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজকে।
কিন্তু কীভাবে এই তালিকা তৈরি হয়?
মোট ১৭টি ক্য়াটাগরিতে ভাগ করে এই তালিকা তৈরি হয়ে থাকে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠানগুলির শিক্ষাদান প্রক্রিয়া, শেখানোর পদ্ধতি, গবেষণা, পেশাদার কর্মপদ্ধতি, কর্মসংস্থান, ফলাফল, প্রসারের মতো একাধিক মাপকাঠির ভিত্তিতে প্রতিবছর এই তালিকা প্রকাশ করে থাকে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক।
বাংলার কী অবস্থা?
কেন্দ্রের উৎকর্ষ তালিকায় রাজ্যে সেরা বিশ্ববিদ্যালয় বা স্টেট পাবলিক ইউনিভার্সিটিগুলির মধ্যে গোটা দেশে প্রথম স্থান দখল করেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। প্রাপ্ত নম্বর ৭৬.০৮। কিন্তু এ তো গেল একটা ক্যাটাগরি। বাকি ১৬, তাতে রাজ্যের কী হাল?
বলে রাখা ভাল স্টেট পাবলিক ইউনিভার্সিটি ক্য়াটাগরিতে প্রথম দশে শীর্ষে যাদবপুর থাকলেও, ১৬৮ বছর পুরনো কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে অনেকটা নীচে। ঠাঁই পেয়েছে ১৫ নম্বর স্থান।
গোটা দেশের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে প্রথম দশে রয়েছে বাংলার আইআইটি খড়্গপুর। কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। রাজ্যের অনুদানপ্রাপ্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এই তালিকায় রয়েছে ১৮ নম্বরে। শুধুমাত্র দেশজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা অনুযায়ী, প্রথম দশের মধ্যে ৯ নম্বরে যাদবপুর, আর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ৩৯ নম্বরে।
কলেজের ক্য়াটাগরিতে উৎকর্ষ তালিকায় প্রথম দশে বাংলার প্রতিনিধি হয়েছে রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ সেন্টেনারি কলেজ। তালিকায় রয়েছে ষষ্ঠ স্থানে। কিন্তু গবেষণার ক্যাটাগরিতে আবার যেন হারিয়ে যাচ্ছে রাজ্য়ের বিশ্ববিদ্যালয়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় পিছিয়ে পড়েছে ২৩ নম্বরে। আর প্রথম দশে রাজ্যের মধ্যে থাকা কেন্দ্রীয় অনুদানপ্রাপ্ত আইআইটি খড়্গপুর। একই অবস্থা প্রকৌশল বা ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যাটাগরির ক্ষেত্রেও। রয়েছে প্রথম দশে শুধুই আইআইটি খড়্গপুর। এমনকি, ম্যানেজমেন্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যাটাগরিতে প্রথম দশের মধ্যে সাত নম্বরে রয়েছে রাজ্যে থাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইআইএম ক্যালকাটা।
কিন্তু ফার্মাসি, মেডিক্যাল, ডেন্টাল, মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, স্কিল ইউনিভার্সিটি, সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস এবং কৃষিকাজ সংক্রান্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যাটাগরিতে প্রথম দশে, কিছু ক্ষেত্রে প্রথম ২০-তেও নেই বাংলার কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম। অবশ্য, আইন কলেজের ক্ষেত্রে প্রথম দশের মধ্যে একেবারে চার নম্বরে রয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অব জুডিসিয়াল সায়েন্স। আর আর্কিটেকচার ক্যাটাগরিতে প্রথম দশের মধ্যে ৩ এবং ৪ নম্বর স্থানে রয়েছে IIT খড়্গপুর এবং IIEST শিবপুরের নাম। বাকি পরে থাকা ইনোভেশন ক্যাটাগরিতেও রাজ্যের প্রতিনিধি বলতে একা IIT খড়্গপুর।