
হাসনাবাদ: আহতদের উদ্ধার করতে চলেছে স্পেশাল। ছুটে গিয়েছিল বাস, অ্যাম্বুলেন্স। কেন্দ্রের পাশাপাশি উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ওড়িশা, বাংলার সরকারও। দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন বসিরহাটের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের যোগেশগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের পাটঘরার বাসিন্দা সৈকত মণ্ডল (২৫)। বাড়ির একমাত্র ছেলে সৈকত। কর্মসূত্রে থাকতে হয় বাড়ির বাইরে। ঘটনার দিন যশবন্তপুর থেকে হাওড়াগামী ট্রেনে উঠেছিলেন তিনি। দুর্ভাগ্যবশত করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ( Coromandel Express Accident) সঙ্গে সেদিন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে যশবন্তপুর এক্সপ্রেসও (Baleshwar Train Accident)। অল্প চোটও লেগেছিল তাঁর। ফিরেছিলেন উদ্ধারকারী বাসে। তাঁর দাবি, যে বাসে তিনি উঠেছিলেন সেখানে তাঁর থেকে চাওয়া হয়েছিল ১ হাজার টাকা।
সূত্রের খবর, দুর্ঘটনার পর জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরা তাঁকে বাহানাগা স্টেশনের কাছ থেকে উদ্ধার করে। তাঁর হাতে, গলায়, পায়ে আঘাত লাগে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে একটি বাসে উঠতে বলা হয়। এদিকে পকেটে তখন তাঁর সামন্য কিছু টাকাই পড়ে রয়েছে। সৈকতের দাবি, বাস ছাড়ার কিছু সময় পর তাঁর কাছ থেকে ১ হাজার টাকা নেওয়া হয়। টাকা দিতে না চাইলে স্পষ্ট বলা হয় নেমে যেতে। আতান্তরে পরে সৈকতবাবু পকেট হাতড়ে দেখেন হাজার টাকা মতোই পড়ে রয়েছে। বাধ্য হয়ে দিয়ে দিতে হয়েছিল শেষ সম্বলটুকুও। ওই অবস্থাতেই কোনওমতে বাড়ি ফেরেন তিনি।
এদিকে অভিশপ্ত সেই সন্ধ্যার কথা মনে করতে গিয়ে এখনও আঁতকে উঠছেন সৈকত। বলছেন, “আমার চোখের সামনেই ট্রেনটা তিনটে পাল্টি খেয়ে যায়। লোকজন ছুটে এসে আমাকে কোনওমতে টেনে বের করে। আমার অবস্থা ভাল ছিল না। শরীরের নানা জায়গায় চোট লাগে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর বাড়ি ফেরার চেষ্টা করি। পুলিশ বলে সামনে বাস আছে। বাড়ি পৌঁছে দেবে কোনও টাকা লাগবে না। বাসে উঠি। বাসটা কিছুদূর যেতেই বাসের কন্ডাক্টর বলছে হাজার টাকা দিতে হবে নাহলে বাস থেকে নামিয়ে দেব। আমরা অসহায়। টাকা পয়সাও বিশেষ নেই। খুবই খারাপ লেগেছে। আমি হাসনাবাদে নামি। সেখান থেকেই বাড়ি ফিরি।”