কামারহাটি: “কেউ বেলে আছে, কেউ আবার জেলে আছে। পুজোর আগে বা পুজোর পরে অনেকে জেলে যাবে। তদন্ত হলে পুজোর আগেই তিন থেকে চারজনের জেলে যাওয়া উচিত।” এদিন কামারহাটি থেকে এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। প্রসঙ্গত, কামারহাটি পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কলোনি বস্তি এলাকায় বহু মানুষের বাস। এদিন সেই এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলতে, তাঁদের সমস্যার কথা জানতে সেখানে পৌঁছে যান দিলীপ। সেখান থেকেই এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। যা নিয়ে আবার রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়ে গিয়েছে জোর শোরগোল।
প্রসঙ্গত, কয়লা থেকে গরু পাচার, নিয়োগ কেলেঙ্কারি, একাধিক মামলায় জোরকদমে তদন্ত চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট, সিবিআই। জেলে দিন কাটছে অনুব্রত মণ্ডল, পার্থ চট্টোপাধ্যায় মানিক ভট্টাচার্যদের। একদিন আগেই খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বাড়িতেও জোরদার তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। তা নিয়েও এদিন কথা বলেন দিলীপ। বলেন, রাজ্যে সব দফতরেই দুর্নীতি হয়েছে, সবাই জানে। পুরসভাতেও হয়েছে। আমার মনে হয় অন্যান্য যে সমস্ত পুরসভার বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে সেখানেও তদন্ত হবে। হাওয়ার দরকার আছে। দোষীদের সাজা দেওয়ার দরকার আছে। লোকসভা নির্বাচনের মুখে দিলীপের এ মন্তব্য বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে কদিন আগে কলকাতা হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়েছিল ইডি। সরতে হয়েছিল ইডির সহকারী অধিকর্তাকেও।
এদিন কামারহাটি থেকে দিলীপকে বলতে শোনা যায়, যাঁরা চুরি করেছেন, অন্যায় করেছেন, তাঁদের বাড়িতে অভিযান চলছে। আগামীদিনেও এই অভিযান চলবে। তদন্ত চলাকালীন অনেক রাঘববোয়ালরাই জেলে ঢুকেছেন। অপেক্ষা করুন পুজোর আগে বা পরে আরও অনেকেই জেলে যাবে। পুজোর আগেই তিন থেকে চার জন জেলে ঢুকবে। এমনটাই তো হওয়ার কথা। যার সময় এসে যাবে তাঁকে তো যেতেই হবে।