Uluberia: বাগানে আম কুড়োনোয় তুলে আছাড় মারার অভিযোগ, SSKM-এ মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে নাবালক

Uluberia: উলুবেড়িয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করে নাবালকের পরিবারের। অভিযোগ পেয়ে বছর তিরিশের মেঘনাথকে গ্রেফতার করে উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ। ধৃতকে শুক্রবার উলুবেড়িয়া আদালতে তোলা হয়।

Uluberia: বাগানে আম কুড়োনোয় তুলে আছাড় মারার অভিযোগ, SSKM-এ মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে নাবালক
উত্তেজনা ছড়ানোয় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়Image Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

May 31, 2025 | 9:34 AM

উলুবেড়িয়া: উত্তর ২৪ পরগনার কাঁচরাপাড়ার ছায়া হাওড়ার উলুবেড়িয়ায়। প্রতিবেশীর বাগানে আম কুড়োনোয় বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। বাগানের মালিকের মারধরে গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে বছর দশেকের এক নাবালক। এসএসকেএম হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। অভিযুক্ত মেঘনাথ মারিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকালে উলুবেড়িয়া কৈজুড়ি শা পাড়ার চার নাবালক পাড়ার একটি বাগানে আম কুড়োতে গিয়েছিল। বাগানের মালিক মেঘনাথ তাদের দেখতে পেয়ে তাড়া করে। তিনজনকে ছুটে পালায়। কিন্তু, একজনকে ধরে ফেলেন বাগানের মালিক। ওই নাবালককে তিনি বেধড়ক মারধর করেন। তুলে আছাড় মারেন বলে অভিযোগ। মারের জেরে অচৈতন্য হয়ে যায় নাবালক। অভিযোগ, তখন রাস্তার ধারে তাকে ফেলে রেখে পালান অভিযুক্ত।

খবর পেয়ে নাবালকের পরিবার তাকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এই ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

উলুবেড়িয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করে নাবালকের পরিবারের। অভিযোগ পেয়ে বছর তিরিশের মেঘনাথকে গ্রেফতার করে উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ। ধৃতকে শুক্রবার উলুবেড়িয়া আদালতে তোলা হয়। ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। তবে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে অভিযুক্তের পরিবার।

চলতি মাসের মাঝামাঝি কাঁচরাপাড়ার বাসন্তীতলায় একটি বাগান থেকে আম পাড়ায় এক কিশোরকে বেধড়ক মারধর করেছিলেন বাগানের পাহারাদার। মারধরের জেরে সুদীপ্ত পণ্ডিত নামে ওই কিশোরের মৃত্যু হয়। আবার কয়েকদিন আগে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় চিপসের প্যাকেট চুরির অভিযোগে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল দোকানদারের বিরুদ্ধে। কৃষ্ণেন্দু দাস নামে ওই ছাত্রকে কান ধরে ওঠবস করানো হয়। চোর অপবাদও দেওয়া হয়। পরে কৃষ্ণেন্দু কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেন।