
জগদ্দল: খালের ধার থেকে এক তৃণমূল কর্মীর দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য় উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলে। শনিবার সকালে উচ্ছেগড়ে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের কাছে খালের ধার থেকে মহম্মদ ইসহাক ওরফে হীরা কুরেশি নামে নামে ওই তৃণমূল কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর বাড়ি ভাটপাড়া পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে। পেশায় মাংস ব্যবসায়ী ছিলেন হীরা কুরেশি। অভিযোগ, রাতে মাংসের অর্ডার দেওয়ার নামে তাঁকে ডেকে খুন করা হয়।
স্থানীয় এক দোকানদার বলেন, এদিন সকালে দোকান খুলতে এসে রক্ত দেখতে পান তিনি। পাশে জুতো পড়ে ছিল। তিনি থানায় ফোন করেন। ফোন পেয়ে পুলিশ এসে খালের ধার থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে। মৃতদেহের পাশে একটি ইট পাওয়া গিয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ইট দিয়ে মাথায় মেরে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।
তৃণমূল কর্মীকে খুনের ঘটনার কথা সামনে আসতেই এলাকায় চাপা উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ভাটপাড়া পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দেবজ্যোতি ঘোষ বলেন, “আমরা নিশ্চিত তৃণমূল ওই কর্মীকে খুন করা হয়েছে। কে বা কারা ঘটনা ঘটাল, সে বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেবে। ইতিমধ্যেই পুলিশ দু’জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। তবে কী কারণে খুনের ঘটনা ঘটল, সে বিষয়ে আর কিছু বলতে পারব না।” তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যামও বলেন, “কেন মারা হয়েছে, এখনও বুঝতে পারছি না। পুলিশ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে। আশা করি, পুলিশ দ্রুত খুনের ঘটনার কিনারা করবে।”
তৃণমূল কর্মীকে খুনের ঘটনায় ব্যারাকপুরের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, “জমি জায়গায় সমস্যার জন্যই ওই তৃণমূল কর্মীকে খুন করা হয়েছে। ভাটপাড়ার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে তিনি যেই বাড়িতে থাকতেন, সেই বাড়ি দীর্ঘদিন ধরে খালি করার হুমকি দিচ্ছিল কিছু অসাধু ব্যক্তি। তা নিয়েই এই খুন।” একইসঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, এখানে তৃণমূলই মারছে, আর তৃণমূলই মরছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।