আগরপাড়া: যাদবপুরে পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় আগেই তোলপাড় হয়েছে রাজ্য-রাজনীতি। এবার ক্ষোভ উগরে দিলেন অভিনেতা তথা রাজনীতিবিদ হিরণ চট্টোপাধ্যায়। তিনি মন্তব্য করেছেন, সরকার যদি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাশ টানতে না পারেন তাহলে ভাল ছেলে-মেয়েরা আর পড়তে যাবে না। একই সঙ্গে তাঁর কটাক্ষ এই যাদবপুরে আফজল গুরুর শাস্তি না চেয়ে মুক্তি চাওয়া হয়েছিল। যেখানে নেশার আসর বসে সেখানে প্রতিভাবান পড়ুয়াদের না যাওয়াই ভাল।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। যেখানে যাদবপুরের এক ছাত্রীকে বলতে শোনা যায়, এটা তাঁদের দ্বিতীয় বাড়ি। তাই এখানে নেশা করার অধিকার রয়েছে তাঁদের। ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি টিভি ৯ বাংলা। পড়ুয়ার ওই মন্তব্যের পর তা নিয়ে নিন্দা-কটাক্ষ শুরু হয়। এ দিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশ সিসিটিভি লাগানোর বিরোধী তারপর আবার এই মন্তব্য দুয়ে মিলে আরও জলঘোলা তৈরি হয়।
এই পরিস্থিতিতে উত্তর ২৪ পরগনার আগরপাড়ার একটি অনুষ্ঠানে শনিবার তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন হিরণ। বলেন, “যাদবপুরে যদি এইরকমই চলতে থাকে তাহলে এখানে ভাল ভাল ছেলে মেয়েরা পড়তে আসবে না। যাদবপুর ছাড়া কি আর কোনও জায়গা নেই?” নিজের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, “আমরা তো গ্রামের ছেলে। আমরা কি পড়াশুনা করিনি? যে যাদবপুর আফজল গুরুর শাস্তি চাই না,মুক্তি চাই বলে মিছিল বের করেছিল সেই যাদবপুরের ছাত্ররা বলে ওটা তাদের দ্বিতীয় বাড়ি। আর ওখানে বসে মদ-গাঁজা খাবে।”
এরপরই মেধাবী পড়ুয়াদের তিনি উপদেশ দিয়ে বলেন, “এই ফাইভ স্টার ইউনিভার্সিটিতে ভাল-ভাল প্রতিভাবান ছেলে-মেয়েদের না যাওয়াই ভাল। সরকার যদি এই বাতাবরণে রাস না টানতে পারে। তাহলে ভাল-ভাল ছেলে-মেয়েরা আসবে না যাদবপুরে।”
উল্লেখ্য, আজই যাদবপুরের ক্যাম্পাসের ভিতরে ওপেন এয়ার থিয়েটার থেকে গাদা গাদা মদের বোতল পাওয়া গিয়েছে। এ দিন সাফাইকর্মীরা ওপেন এয়ার থিয়েটার পরিষ্কার করতে গেলে এই দৃশ্য ধরা পড়ে। এর আগেও সেই একই দৃশ্য ধরা পড়েছিল। সেই নিয়ে বিতর্ক ছড়াতেই তড়িঘড়ি সাংবাদিক বৈঠকে বসেছিলেন রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্ু বসু। বলেছিলেন, মাদক বা সুরা নিয়ে ক্যাম্পাসের ভিতরে কেউ ঢুকলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারপরও যে ছবি বদলায়নি সে কথা আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল বিশ্ববিদ্যালয় নিজেই।