Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Madhyamik Student: মাধ্যমিকের প্রথম পরীক্ষা খুব ভাল হয়েছে, খুশিই ছিল সোনালি, পাতে তখনও পড়ে ভাত, একটা ফোন এল, আর তারপরই…

Madhyamik Student: সোনালির নানি জানিয়েছেন, তিনি বাইরে ভাত বেড়ে অপেক্ষা করছিলেন। শুধু শুনতে পেয়েছিলেন, সোনালি ফোনে কাউকে বলছে, এই পরীক্ষার কয়েকদিন আমাকে বিরক্ত করো না।

Madhyamik Student: মাধ্যমিকের প্রথম পরীক্ষা খুব ভাল হয়েছে, খুশিই ছিল সোনালি, পাতে তখনও পড়ে ভাত, একটা ফোন এল, আর তারপরই...
সোনালি খাতুনImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 11, 2025 | 7:28 AM

অশোকনগর: জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। ভয় তো ছিলই। কিন্তু বাড়ি ফিরে সে জানিয়েছিল, তার পরীক্ষা ভালই হয়েছে। পরের দিনের পরীক্ষার জন্য ইউনিফর্মটাও গুছিয়ে রেখেছিল। থালায় ভাত বেড়ে অপেক্ষা করছিল তার ‘নানি’। কিন্তু কিছুক্ষণ পর ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়া পাওয়া গেল না সোনালির। উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের বাসিন্দা সোনালি খাতুনের মা নেই। নানির কাছেই থাকত। পড়াশোনাতেও আগ্রহ ছিল প্রবল। কিন্তু দ্বিতীয় পরীক্ষাটা আর দেওয়া হল না সোনালির।

সোমবার ছিল মাধ্যমিকের প্রথম পরীক্ষা। বাড়ি ফিরে হাসিখুশি ছিল সে। তার আত্মীয়রা বলছেন, খাওয়ার আগেই একটা ফোন আসে। ঘরের মধ্যে গিয়ে কথা বলে সোনালি। তার কিছুক্ষণ পরই উদ্ধার হয় তার ঝুলন্ত দেহ। গোটা ঘটনায় হতবাক সোনালির পরিবার।

সোনালির পরিবারের সদস্যরা বলছেন, সে মামারবাড়িতে থেকেই পড়াশোনা করত। মেধাবীও ছিল সে। তবে সম্প্রতি প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল সোনালি। সে নানাভাবে উত্যক্ত করত বলে অভিযোগ। এমনকী অনেক সময় হুমকিও দেওয়া হত! সোমবার দুপুরেও ওই যুবকের ফোন এসেছিল বলে দাবি পরিবারের।

সোনালির নানি জানিয়েছেন, তিনি বাইরে ভাত বেড়ে অপেক্ষা করছিলেন। শুধু শুনতে পেয়েছিলেন, সোনালি ফোনে কাউকে বলছে, এই পরীক্ষার কয়েকদিন আমাকে বিরক্ত করো না। এরপর সাড়া না পেয়ে ডাকতে গিয়ে দরজা খুলেই দেখেন সোনালির ঝুলন্ত দেহ।

অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছে পরিবার। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়েছে।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনালির আসল বাড়ি দত্তপুকুর থানা এলাকায় হলেও, গুমা দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোট বামুনিয়া এলাকায় নানির কাছেই থাকত সে। কয়েকবছর আগে তার মা আজমিরা বিবি মারা যান। গুমা রবীন্দ্রনাথ বিদ্যাপীঠ স্কুলে পড়ত সোনালি। রাজীবপুর গার্লস স্কুলে পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল তার। অভিযোগ, তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন ওই যুবক। এমনকী তাকে রাস্তায় বেরতে দিতেন না বলেও অভিযোগ যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত যুবকের নাম জসীমউদ্দীন দফাদার। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।