শ্যামনগর: বিজেপি করার ‘অপরাধে’ এক মহিলা কর্মীকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ। ধারাল কিছু অস্ত্র দিয়ে মেরে ওই মহিলার মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠে আসছে। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরে। বিজেপি শিবির থেকে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, ভোটের রেজাল্টের পর থেকেই শ্যামনগরের ওই পরিবারকে বিভিন্নরকমভাবে হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছিল। এরপর বুধবার ওই মহিলা যখন কলের জল আনতে গিয়েছিলেন, সেই সময়েই একদল দুষ্কৃতী তাঁর উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। মহিলার অভিযোগ, হামলাকারীরা তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী।
জানা যাচ্ছে, বুধবারের এই ঘটনার পর আক্রান্ত ওই মহিলাকে উদ্ধার করে বিজেপির অন্যান্য কর্মী-সমর্থকরাই বি এন বোস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই মহিলা। আক্রান্ত মহিলার কথায়, ‘৪ জুন থেকেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হামলা করছে। বাইরে বের হতে পারি না। হুমকির মুখে পড়তে হয়। আজ জল নিতে গিয়েছিলাম, জল নিতে দেয়নি। আমার নাইটি ছিঁড়ে দিয়ে মেরেছে।’ তাঁর দাবি, বিজেপি করার কারণে এইভাবে মাটিতে ফেলে মারধর করা হয়েছে তাঁকে। মহিলা বলেন, ‘আমি বিজেপিকে ভালবাসি। এটা কি আমার অন্যায়?’
এই নিয়ে স্থানীয় স্তরে এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন জানিয়েছেন, “যে কোনও ঘটনাকেই তৃণমূলের গায়ে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে তৃণমূলকে বদনাম করার জন্য। কিন্তু সিংহভাগ ক্ষেত্রেই প্রমাণিত হচ্ছে সেগুলি অন্য কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, বা গ্রাম্য বিবাদ কিংবা পারিবারিক বিবাদ। তার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। এক্ষেত্রেও আমি নিশ্চিত, প্রশাসন তদন্ত করবে এবং দেখা যাবে এটা অন্য কোনও ঘটনা। তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করার জন্য এটার দোষ তৃণমূলে গায়ে লাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।”