গাইঘাটা: চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে গিয়েছিল চব্বিশ বছরের যুবতী। অভিযোগ, সেই সময় তাঁকে একা পেয়ে যৌন হেনস্থা করেন পাড়ার হাতুড়ে ডাক্তার। শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটায়। ঘটনার পরেই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই যুবতী। দায়ের করেন লিখিত অভিযোগ। যদিও তারমধ্যে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন অভিযুক্ত ডাক্তার।
নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে খবর, যে ডাক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তিনি আবার এলাকায় দাপুটে তৃণমূল নেতা বলেও পরিচিত। সূত্রের খবর, ২০১৩ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত উত্তর ২৪ পরগণার গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছিলেন। রাজনীতির পাশাপাশি দীর্ঘদিন থেকেই এলাকায় হাতুড়ে ডাক্তারি করেন তিনি। বহু মানুষই নানা রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা করাতে আসেন তাঁর কাছে। চিকিৎসার জন্যই শনিবার রাতে ওই ডাক্তারের কাছে এসেছিলেন গাইঘাটার যুবতী। জ্বর হয়েছিল তাঁর। অভিযোগ, জ্বরের চিকিৎসা করানোর নামে নানারকম অশালীন ইঙ্গিত দিতে থাকেন ওই ডাক্তার। শেষে যৌন হেনস্থাও করেন। খুবই ভয় পেয়ে যান যুবতী।
কোনওমতে বাড়ি ফিরে পরিবারের সদস্যদের কাছে গোটা ঘটনার কথা খুলে বলেন ওই যুবতী। শেষে রাতেই গাইঘাটা থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করতে না করতেই সটান আবার থানায় চলে আসেন অভিযুক্ত। আত্মসমর্পণ করেন। ইতিমধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করে মামলাও রুজু করা হয়েছে। এদিকে ডাক্তার আবার এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে নির্যাতিতার পরিবার। তবে দোষীর কড়া শাস্তির দাবি তুলেছেন তাঁরা।