
দেগঙ্গা: পরিবারের আর্থিক অনটনের কথা জেনে কাজ দেওয়ার নাম করে দেগঙ্গার (Deganga) গৃহবধূকে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ। চলে ব্ল্য়াকমেল, দেওয়া হয় খুনের (Murder) হুমকি। এমনকী ধর্ষণের ভিডিয়ো করে রাখা হয় বলেও অভিযোগ। সেই ভিডিয়ো দেখিয়ে দিনের পর দিন হোটেলে ডেকে ধর্ষণ করা হয়। পুলিশে গেলেও শুরুতে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ গৃহবধূর। শেষে নবান্নের হস্তক্ষেপে বুধবার রাতে গ্রেফতার অভিযুক্ত হাফিজুল ইসলাম। তাঁর বাড়ি দত্তপুকুর থানা এলাকায়। হাফিজুলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলছেন নির্যাতিতা।
ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ওষুধ কিনতে এসে ওই ছেলেটার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল। আমার পরিবারের আর্থিক অনটনের কথা বললে ও একটা কাজের কথা বলে। আমি বলি বাড়ি থেকে করা সম্ভব হলে আমি করব। এর তিন থেকে চারদিন পরে ফোন করে। ফের কাজের কথা বলে। আমার বাড়িতে আসে। কিছু কাজও দেয়। এর সপ্তাহ দুয়েক পর ও নিজের বাড়িতে আমাকে ডাকে। আমি ওর বাড়িতে গেলে ও সঙ্গে সঙ্গে গেটে তালা দিয়ে দেয়। ঘরে নিয়ে গিয়ে ছুরি দেখিয়ে ভয় দেখিয়ে জোর করে ধর্ষণ করে। সেটার ভিডিয়োও করে রাখে। ভয়ে আমি সেদিন ওখান থেকে চলে আসি। পরবর্তীতে ফোন করে ওই ভিডিয়োর কথা বলে ব্ল্যাকমেল করতে থাকে। বলে ওই ভিডিয়ো ভাইরাল করে দেবে।”
এখানেই না থেমে তিনি আরও বলেন, “একাধিকবার হোটেলে নিয়ে গিয়ে আমাকে ধর্ষণ করে। বারাসাত, হাসনাবাদে নিয়ে যায়। আমার পেটে যখন চার মাসের বাচ্চা তখন আমি আর যাব না বলি। তখন ফের ভয় দেখাতে থাকে। ফের আমাকে ধর্ষণ করে। আমার বাচ্চা নষ্টও হয়ে যায়। হাসপাতালে ভর্তি হই। সেখানেও ও আমাকে ফোন করে। ফের দেখা করতে বলে। সংসার ভেঙে দেওয়ার ভয় দেখাতে থাকে। তখনই আমি ওর বউকে সব ঘটনা বলতে যাই। সেখানে আমাকে মারধর করে। তখনই আমি থানায় গিয়ে পুলিশকে সবটা জানাই। কিন্তু, তারপরও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। প্রায় মাস দুয়েক আগে অভিযোগ করেছিলাম। এরপর নবান্নে গিয়ে অভিযোগ জানাই। এরপর ও আমার বাড়ি গিয়ে স্থানীয় লোকজনদের মদত নিয়ে আমাকে ঘর ছাড়াও করে। আমি এর বিচার চাই।”