Kadambagachi: স্থায়ী সমিতি গঠন নিয়ে কদম্বগাছিতে তৃণমূলের দলাদলির অভিযোগ

Dipankar Das | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Sep 11, 2023 | 10:02 PM

Barasat: যদিও কদম্বগাছি গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান মাধবী মণ্ডল দাবি করেছেন, প্রধান-উপপ্রধান নির্বাচনেও স্বচ্ছতা ছিল। দলের সমর্থনেই তিনি তৃণমূলের প্রধান হয়েছেন। পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠনেও তেমনটাই হয়েছে। মাধবী বলেন, "গোপন ব্যালটে ভোট হয়। সকলেই অংশ নেয় তাতে। তবে অন্য কারও সমর্থনের প্রশ্নই নেই।

Kadambagachi: স্থায়ী সমিতি গঠন নিয়ে কদম্বগাছিতে তৃণমূলের দলাদলির অভিযোগ
অঞ্চল সভাপতি নিজামুল কবীর।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

উত্তর ২৪ পরগনা: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উঠল স্থায়ী সমিতি গঠনকে কেন্দ্র করে। কদম্বগাছি গ্রামপঞ্চায়েতের ঘটনা। অন্য দলের সদস্যদের সমর্থন নিয়ে একপক্ষ বারাসত-১ পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠন করেছে, এই অভিযোগকে সামনে রেখে অপর পক্ষ সরব। অভিযোগ, আইএসএফ ও কংগ্রেসকে নিয়ে তৃণমূলের এক গোষ্ঠী স্থায়ী সমিতি গঠন করে। অভিযোগ, এর আগেও কদম্বগাছি গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান মনোনয়নের সময় আইএসএফের সমর্থন নিতে হয়েছিল অঞ্চল সভাপতি নিজামুল কবীরের অনুগামীদের। আইএসএফের সঙ্গে লড়াই হওয়ার পরও কেন কদম্বগাছিতে ছবিটা বদলে যাচ্ছে, সে প্রশ্ন তোলেন গ্রামপঞ্চায়েতের একাধিক সদস্য।

যদিও কদম্বগাছি গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান মাধবী মণ্ডল দাবি করেছেন, প্রধান-উপপ্রধান নির্বাচনেও স্বচ্ছতা ছিল। দলের সমর্থনেই তিনি তৃণমূলের প্রধান হয়েছেন। পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠনেও তেমনই হয়েছে। মাধবী বলেন, “গোপন ব্যালটে ভোট হয়। সকলেই অংশ নেয় তাতে। তবে অন্য কারও সমর্থনের প্রশ্নই নেই। আর ভোট হয়েছে গোপন ব্যালটে। সুতরাং কে কোথায় ভোট দিয়েছে সেটা তো বলাও সম্ভব না।” একই দাবি নিজামুল কবীরেরও।

তবে কদম্বগাছি গ্রামপঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য রবীন্দ্রনাথ মণ্ডলের দাবি, “কদম্বগাছি গ্রামপঞ্চায়েতের ৩০ জন পঞ্চায়েত সদস্য। তার মধ্যে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী ২৪ জন। ৫ জন আইএসএফ, ১ জন নির্দল। পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ৩ জন। তৃণমূলের টিকিটে জয়ী ২৭-এর মধ্যে দল যাঁদের নামে হুইপ দিয়েছিল, তাঁদের সমর্থনে ১৪টা ভোট আসে। আর আরেক পক্ষ ১৩টা পেলেও আইএসএফ কংগ্রেসকে নিয়ে ১৯টা পায়। পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান গঠনে যেভাবে আইএসএফের সহায়তা নিয়েছিল ওরা। একইভাবে পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠনেও এক ছবি। এটা তো গোষ্ঠীকোন্দল। নাহলে সিংহভাগ সদস্য থাকার পরও কেন অন্য ভোটাভুটি লাগছে বা আইএসএফের সমর্থন লাগছে?”

Next Article