ব্যারাকপুর: ভাঙা রাস্তা ঠিক করে দেওয়ার দাবিতে পথ অবরোধ। আর সেই অবরোধ তুলতে তৃণমূল কর্মীদের দাদাগিরির অভিযোগ উঠল পানিহাটিতে। অভিযোগ, শনিবার রাস্তা ঠিক করার দাবিতে সোদপুর রাসমণি এলাকায় রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। সেখানে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে ঝামেলা শুরু হয়। এক মহিলার গায়ে পর্যন্ত হাত দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুলকালাম বাধে এলাকায়। এমনকী খড়দহ থানার পুলিশ গেলে তাদের সঙ্গেও কথা কাটাকাটি হয়।
পানিহাটি পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ড। এলাকায় ব্যস্ততম আরএন অ্যাভিনিউ দীর্ঘদিন ধরে বেহাল বলে অভিযোগ। অথচ এই রাস্তা ধরে নিয়মিত স্কুল কলেজের পড়ুয়া থেকে সাধারণ মানুষের যাতায়াত। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি। তারই প্রতিবাদে এদিন বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, অবরোধ তোলার জন্য স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা আসেন। অবরোধ তুলতে চাপ দেন। না শুনলে হুমকি দেন বলেও অভিযোগ। সেই সময় তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন অবরোধকারীরা। অভিযোগ, কাউন্সিলর ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা রাজেশ দে-র নামে।
যদিও এ প্রসঙ্গে রাজেশ দে বলেন, “খুবই কম রাস্তার কাজ বাকি। তা দ্রুত তো হবেই। আর আন্দোলন করছে ভাল কথা। কিন্তু আন্দোলনটা করল কারা? ওরা বলছে ব্যবসায়ী সমিতি। কিন্তু একেবারেই তা নয়। অন্য জায়গা থেকে কতগুলো ছেলে এসে এইসব করল।”
এই ঘটনায় বিজেপির নিশানায় শাসকশিবির। বিজেপি নেতা জয় সাহা বলেন, “বাংলায় তো ভাল কিছুই হয় না। এর আগে তো আমরা দেখলাম কাউন্সিলর পুলিশ কর্মীকে পেটাচ্ছেন। আজ কাউন্সিলরের এক অনুগামী এক মহিলার হাত টেনে নিয়ে চলল। এখন পুলিশ নিষ্ক্রিয়। তৃণমূলের নেতারাই পুলিশ। মহিলাদের সুরক্ষাটুকুও সুনিশ্চিত নয়।”
স্থানীয় ব্যবসায়ী শিউলি কর্মকার বলেন, “৬ মাসের উপরে রাস্তা খারাপ। পুজোর আগে থেকে বলছে রাস্তা ঠিক করবে, করছে না। পুরসভা আজ হবে কাল হবে করছে। এত ধূলো এখানে। আমরা দোকানে বসতে পারছি না।”