
বারাসত: হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন নাবালিকার শ্লীলতাহানির অভিযোগ। গ্রেফতার চিকিৎসক পড়ুয়া। গ্রেফতার করেছে বারাসত থানার পুলিশ। ঘঠনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। অভিযুক্ত ওই মেডিক্যাল কলেজেরই বয়েজ হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করতো বলে জানা যাচ্ছে। হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার অ্যাপেনডিক্স অপারেশনের সময় নাবালিকার কিছু প্রাথমিক চিকিৎসার প্রয়োজন ছিল। সেই সময়ই ১৩ বছরের ওই নাবালিকার শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ।
পরিবারের সদস্যদের কাছে ওই নাবালিকা সবটা খুলে বললে তাঁরা আর পুলিশে অভিযোগ জানাতে দেরি করেননি। তারপরই অ্যাকশন নেয় পুলিশ। বুধবার রাতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এদিনই তাঁকে আদালতেও তোলা হয়। ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। বারাসাত মেডিকেল কলেজের অতিরিক্ত সুপারিন্টেনডেন্ট অবশ্য এ নিয়ে খুব বেশি মন্তব্য করতে চাননি। শুধু বলছেন অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে। সূত্রের খবর, এই চিকিৎস আবার আরজিকরের ঘটনার সময় প্রতিবাদীদের আন্দোলনেও সামিল হয়েছিলেন।
এদিকে এ ঘটনার কিছুদিন আগেই এসএসকেএমেও এক নাবালিকার শ্লীলতাহানির ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল স্বাস্থ্য মহলে। অভিযুক্ত আবার এনআরএস মেডিকেল কলেজের স্বাস্থ্য কর্মী বলে জানা যায়। আগে শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। ওই ঘটনাতেও অভিযোগ পাওয়ার কিছু সময়ের মধ্যেই অ্যাকশন নেয় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। তবে এক্কেবারে রাজ্য এক নম্বর নামজাদা হাসপাতালে এ ঘটনা প্রশ্ন তুলে দেয় এসএসকেএমের নিরাপত্তা নিয়ে। এবার যেন একই ঘটনার প্রতিচ্ছবি বারসতেও। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছে নাবালিকার পরিবার।