
পানিহাটি: কাজের টোপ দিয়ে নিয়ে গিয়ে পানিহাটির তরুণীর উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ। খুনের চেষ্টার অভিযোগ। প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বাড়ি চলে আসেন তরুণী। খড়দহ থানায় ইতিমধ্যেই দায়ের হয়েছে পুলিশের খাতায়। খবর চাউর হতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে তরুণীর বাড়ির এলাকায়। আতঙ্কে গোটা পরিবার।
হাওড়ার ডোমজুড়ের আরিয়ান খান নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই অভিযোগ করেছেন ওই তরুণী। তাঁর বিরুদ্ধে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের নামে ডোমজুড়ে বার ড্যান্সারের কাজ করানোর অভিযোগ উঠেছে। তাঁর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। তেইশ বছরের ওই তরুণী জানাচ্ছেন ওখানে থাকার সময়েই সে শুনতে পায় তাঁকে মেরে ফেলার চক্রান্ত হচ্ছে। সবটাই হবে রাতের অন্ধকারে। এ কথা শোনা মাত্রই ওই তরুণী পালিয়ে আসে। তাঁকে পালিয়ে আসতে সাহায্য করে আরিয়ানেরই ঠাকুমা। যে বাড়িতে ওই তরুণীকে রাখা হয়েছিল সেখানকার সিসিটিভি বন্ধ করে কোনওভাবে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে সমর্থ হয়েছিলেন ওই তরুণী।
নির্যাতিতার মা বলছেন, এতই মারধর করা হয়েছে যে তাঁদের মেয়ে বর্তমানে না শুতে পারছে, না বসতে পারছে। শরীরের নানা জায়গায় আঘাত করা হয়েছে। বর্তমানে সাগর দত্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই তরুণী। তাঁর মায়ের কথায়, “নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই খুবই অত্যাচার করতো। বুকের কাছে কাটারি দিয়ে কেটে দিয়েছিল। সিগারেটের ছ্যঁকাও দিয়েছিল। রড দিয়ে হাতে মেরে একটা হাত ভেঙে দিয়েছে। পিঠে ও পায়েও মেরেছে। কোমরে মেরে কোমরও ভেঙে দিয়েছে। মাথাতেও লোহা দিয়ে মেরেছে।” তিনি স্পষ্টতই বলছেন, “আমার মেয়েকে নোংরা কাজ করতে বলতো। ওকে সুন্দর দেখতে তো তাই ওই কাজে নামাতে চাইছিল। কিন্তু সেটা ও করতে চাইতো না। তাতেই রেগে গিয়ে ওরা অত্যাচার চালাত ওর উপর। এখন ও বাড়ি চলে আসার পর ওর নামে চুরির বদনাম দিয়েছে।”