Court Verdict: উদ্দাম যৌনতা দেখে ফেলেছিল স্বামী, ভয়ঙ্কর পরিণতি প্রেমিকের! ৭ বছর পর সেই স্বামী-স্ত্রীকে শিক্ষা দিল আইন

Extramarital affair case: বাড়ির ছেলের খোঁজ না পেয়ে ৬ নভেম্বর রাতেই আব্দুলের পরিবারের পক্ষ থেকে মধ্যমগ্রাম থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। জোরকদমে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। ৭ নভেম্বর মধ্যমগ্রামের নোয়াই খালে একটি দেহ ভেসে উঠতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

Court Verdict: উদ্দাম যৌনতা দেখে ফেলেছিল স্বামী, ভয়ঙ্কর পরিণতি প্রেমিকের! ৭ বছর পর সেই স্বামী-স্ত্রীকে শিক্ষা দিল আইন
সাজা শোনাল আদালত Image Credit source: TV 9 Bangla

| Edited By: জয়দীপ দাস

Aug 29, 2025 | 9:35 PM

বারাসত: ঘটনাটা ২০১৮ সালের। মধ্যমগ্রামের রোহন্ডা-চণ্ডীগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ যোজরা গ্রামে বাড়ি আর্জিনা বিবির। সাধারণ গৃহবধূ। অভিযোগ, তিনিই পরকীয়ায় জড়িয়ে ঘটিয়ে ফেলেছিলেন ভয়ঙ্কর ঘটনা। দীর্ঘদিন থেকেই প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল তাঁর। স্বামী না থাকলে প্রায়শই প্রেমিককে বাড়িতেও ডাকতেন। দিনটা ছিল ওই বছরের ৬ নভেম্বর। স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে ফের ডেকেছিলেন প্রেমিক আব্দুল হাসানকে। অবাধ যৌনতাতেও লিপ্ত হয়েছিলেন। কিন্তু ঘটনাচক্রে আচমকা সেই সময় বাড়িতে চলে স্বামী জাকির হোসেন। এক্কেবারে হাতেনাতে ধরে ফেলেন স্ত্রীকে। আর তারপরেই ঘটে যায় ভয়ঙ্কর ঘটনা। 

ঠিক কী ঘটেছিল? 

অভিযোগ, বেকায়দায় পড়ে পাল্টি খেয়ে যান আর্জিনা। জোর করে তাকে ধর্ষণ করছে আব্দুল হাসান, এমন অভিযোগ তোলেন। বাড়িতেই শুরু হয়ে যায় তুমুল বচসা। আর সেই সময়েই আব্দুলকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। প্রমাণ লোপাট করতে স্বামী স্ত্রী মিলে তৈরি করেন নতুন ছক। ধারাল চপার দিয়ে আব্দুলের পা দু’টি কেটে ফেলা হয়। শুধু তাই নয়, মৃতের পরিচয় যাতে কোনওভাবে কেউ বুঝতে না পারে সেই জন্য মুণ্ডুও কেটে রেখে দেওয়া হয় জাকিরের গোপন আস্তানায়। দেহাংশ খণ্ডবিখণ্ড করে ভাসিয়ে দেওয়া হয় গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নোয়াই খালে। 

অন্যদিকে বাড়ির ছেলের খোঁজ না পেয়ে ৬ নভেম্বর রাতেই আব্দুলের পরিবারের পক্ষ থেকে মধ্যমগ্রাম থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। জোরকদমে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। ৭ নভেম্বর মধ্যমগ্রামের নোয়াই খালে একটি দেহ ভেসে উঠতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। আর তারপরই অর্জিনা ও জাকিরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়। জেরা চলাকালীন ভেঙে পড়েন দু’জনে। ঘটনার কথা স্বীকার করে নেন। তারপর থেকে টানা ৭ বছর চলেছে মামলা। 

আদালতে ৭ বছর ধরে চলল মামলা 

মোট ১৯ জন সাক্ষী ও সমস্ত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার জাকির ও অর্জিনাকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। এদিন হয়ে যায় সাজা ঘোষণা। জাকির হোসেনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০০০টাকা জরিমানা অনাদায়ে অতিরিক্ত ১ বছর জেলের নির্দেশ দেন বারাসাত জেলা আদালতের বিচারক দিপালী শ্রীবাস্তব। আর্জিনার র ৫ বছর কারাদণ্ড ও ১০০০ টাকা অনাদায়ে ১ মাসের জেলের নির্দেশ দেওয়া হয়। মামলার সরকারি আইনজীবী সন্দীপ চট্টোপাধ্যায় বলছেন আইনি ভাষায় ঘটনাটি রেয়ারেস্ট অফ দ্য রেয়ারেস্ট। সে কারণেই খুন, প্রমাণ লোপাট ও একই উদ্দেশ্য নিয়ে অপরাধ সাধনের ধাকায় মামলা চলেছে।