
বারাসত: আইনজীবী-পুলিশ ধস্তাধস্তি। বারাসত আদালত চত্বরের বাইরে তুমুল উত্তেজনা। দুই আইনজীবীকে মারধরে অভিযুক্তদের আদালতে পেশের সময়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন আইনজীবীরা। বিক্ষোভ সরাতে গেলে পুলিশকে ঘিরে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। দুপক্ষের ধস্তাধস্তিতে গুরুতর জখম হন এক পুলিশ কর্মী। খবর করতে গিয়ে আহত হন কয়েকজন সাংবাদিকও।
সম্প্রতি বারাসত আদালতের আইনজীবীদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে। তাতে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। এদিন সেই ধৃতদের আদালতে পেশ করার দিন ছিল। সকাল থেকেই বারাসত আদালতের বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন আইনজীবীরা। পুলিশকে ঘিরেও শুরু হয় বিক্ষোভ। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে বিশাল বাহিনী এলে আরও উত্তেজনা বাড়ে।
একাধিক গাড়ি ভাঙচুর, থানা লক্ষ্য করেও ইট ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম হন এক পুলিশ কর্মী। তাঁর মুখ ফেটে রক্ত বের হতে শুরু করে। আহত হন কয়েকজন সাংবাদিকও। গোটা বিষয়টিতে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। এ বিষয়ে প্রাক্তন ডেপুটি পুলিশ কমিশনার সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশের ওপর হামলা হচ্ছে, আইননতভাবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে। জামিন অযোগ্য ধারায় কেস দিতে হবে। কোনও লঘু ধারায় নয়। ”
যদিও পুলিশেরই ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। তিনি বলেন, “পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে যাচ্ছে, নাকি পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করে তুলছে? কারণ পুলিশ নিরপেক্ষ নয়, পুলিশের বিরুদ্ধে, ক্ষোভ, হতাশা বাড়ছে!” অন্যদিকে, তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “এ রাজ্যের পুলিশ সংবেদনশীলতার সঙ্গে কাজ করতে বদ্ধপরিকর। যারা এই কাজ করছেন, আইনজীবীরা কীভাবে এই রকম করতে পারেন!”