
উত্তর ২৪ পরগনা: চোখ চুরি বিতর্কে এবার প্রকাশ্যে দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। প্রাথমিক রিপোর্টে জানা যাচ্ছে, ইঁদুর বা ছুতোতেই খুবলে খেয়েছে মৃত যুবক প্রীতম ঘোষের চোখ। বেশ খানিকটা আইবল্ আছে দেহে। তদন্তকারীদের মেডিক্যাল রিপোর্টে উল্লেখ। বারাসত মেডিক্যালের মর্গ থেকে মৃত প্রীতম ঘোষের চোখ চুরির অভিযোগ। তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে স্বাস্থ্যভবন।
মঙ্গলবার বারাসত মেডিক্যাল কলেজের মর্গ থেকে কাজীপাড়ার বাসিন্দা প্রীতম ঘোষের দেহ বার করে সৎকার্যের নিয়ে যাচ্ছিল পরিবার। তখনই তাঁরা দেখেন, চোখ উধাও, মুখের একপাশে পড়ে তুলসি পাতা! ধুন্ধুমারকাণ্ড বাধে। বারাসত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ উগরে দেন পরিবারের সদস্যরা। মঙ্গলবারই ওই সময়ই যশহর রোড দিয়ে ফিরছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রোগীর পরিজনদের ক্ষোভের মাঝে পড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়। বিক্ষোভকারীরা মুখ্য়মন্ত্রীকে গোটা বিষয়টি জানান। তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে, মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষও গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী তদন্তের নির্দেশ দেন। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন। পরিবারকে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেন। তবে মর্গের অস্থায়ী কর্মী প্রথম থেকেই দাবি করছিলেন, বারাসত মেডিক্যাল কলেজের মর্গের কুলার দীর্ঘদিন ধরেই খারাপ রয়েছে। ফলে ইঁদুর-ছুতোর উৎপাত রয়েছে। ইঁদুরও চোখ খুবলে নিয়েছে বলে জানান তিনি। যদিও পরিবারের তরফ থেকে বিষয়টি মেনে নেওয়া হচ্ছিল না। অঙ্গ পাচারের অভিযোগ তুলছিল পরিবার। এরপর ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হয়। রিপোর্টে এটাই উল্লেখ করা হয়েছে, ইঁদুর কিংবা ছুতোতেই খুবলে খেয়েছে চোখ।