বারাসত: প্রায় প্রতিদিন বিকেলে সে আসত। তারপর সকলের সামনেই বাড়ির গ্রিল ভাঙত। দেখে মনে হবে হয়ত বাড়িওয়ালা কোনও কাজ করাচ্ছেন। এরপর ঘরের ভিতর ঢুকত সে। তারপর আর কী চুরি! দিনের পর দিন ঘরে ঢুকে চুরি করত সে। শেষে স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় যান। পুলিশ আধিকারিকরা হাতেনাতে ওই চোরকে ধরে। পরে জানা যায় সে বাংলাদেশি।
কী ঘটেছে?
ঘটনাস্থল উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত। অভিযুক্তের নাম মিজানুর তালুকদার। পুলিশ সূত্রে খবর, পুজোর আগে এদেশে ঢোকে সে। এরপর বারাসত হাসপাতালের কাছে ফ্ল্যাট ভাড়া করে থাকা শুরু করে। দিনের বেলা বাড়ি গিয়ে চুরি করত। বারাসত থানা এলাকা থেকে একাধিক বাড়িতে দিনের বেলা বিশেষ করে বিকাল বেলা গ্রিল ভেঙে বাড়ির মধ্যে ঢুকে চুরি করত। আশেপাশের মানুষ দেখলে মনে করবে বাড়িওয়ালা নিজে বাড়িতে কোনও কাজ করাচ্ছেন। চুরি যাওয়া বাড়ির ব্যক্তিরা বারাসত থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ তদন্ত করে দেখতে পায় প্রত্যেকটি জায়গাতেই একজন কমন লোক এই চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত। সিসিটিভির ক্যামেরাতে তার ছবি ধরা পড়ে।
এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার কাছ থেকে নগদ ও সোনা উদ্ধার করেছে। পুলিশ জানতে পেরেছে সোনা চুরি করার পর মাপবার জন্য বাড়িতে সোনা মাপার মেশিন কিনে রেখেছিল সে। বারাসত থানার পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝারখারিয়া জানিয়েছেন, এর আগেও বাংলাদেশ থেকে এসে এইভাবে চুরি করেছে কি না, তার স্ত্রী এই চুরির কাজে তাকে সাহায্য করেছে কি না বা তার সঙ্গে আর কেউ কেউ এরকম একই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে চলেছেন কি না সেই সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই বিষয়ে তিনি পরবর্তীতে পুরসভাগুলির সঙ্গেও কথা বলবেন।