
বারাসত: এবার ২১শে জুলাইয়ের টাকা বিলির ভাইরাল ভিডিয়োকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা। একুশে জুলাই মুখ্যমন্ত্রীর সভাশেষে বাড়ি ফেরার পথে, কন্ট্রাক্টারের মতন এক ব্যক্তি বাসে টাকা আদায়ের বদলে কর্মী সমর্থকদের মধ্যে টাকা বিলির ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। আর এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই দত্তপুকুর কাশিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় জোর রাজনৈতিক তরজা।
স্থানীয় বিরোধী দলগুলির একাংশের দাবি, ভিডিয়োতে যাঁদের দেখা গিয়েছে, তাঁরা স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী নেতার অনুগামী। তাঁদেরকেই টাকা বিলি করতে দেখা গিয়েছে।
স্থানীয় বিজেপি নেতা সমরজিৎ ঘোষ বলেন, “তৃণমূলের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে। নীচু তলার কর্মী সমর্থকদের রোজের দাম দিচ্ছে তৃণমূল। যদি তারা যেতে অস্বীকার করত, তাহলে হয়তো তাদের কাজই চলে যেত।” তাঁদের আরও বক্তব্য, “ভীতসন্ত্রস্ত সাধারণ মানুষ পেটের দায়ে এবং রাজনৈতিক চাপ হয়তো যেতে হইছে।”
এই ঘটনাকে ঘিরে স্থানীয় সিপিআইএম নেতা হাবিব আলি বলেন, “শুধুমাত্র টাকা নয়। টাকা ছাড়াও মদ মাংস আরও কত কিছুতে যে শহিদ স্মরণ করা হয়েছে, এত সভার পর থেকেই সমাজ মাধ্যমে প্রকাশ্যে আসছে। এগুলি তৃণমূলের কালচার।”
যদিও এই ভাইরাল ভিডিয়ো বিষয়ে অস্বীকার করেছেন কাশিমপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অমল বিষ্ণু বলেন, “এ ধরনের ভিডিয়ো দত্তপুকুর তথা বারাসত একদা অঞ্চলের কোন জায়গার নয়। দলের নামে কুৎসা রটাতে বিরোধীরা সরব হয়েছে। কাশিমপুর এলাকারা কোনও বাসে এধরনের টাকা বিলির ঘটনা ঘটেনি।”
তিনি আরও বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস সৈনিকদের পয়সার বিনিময়ে কেনা যায় না।দুর্গাপুরে দেশের ঢপবাজ প্রধানমন্ত্রী সভায় উত্তরপ্রদেশ বিহার থেকে লোক নিয়ে আসা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের এই দুর্দিন আসেনি।”
এ প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “একুশে জুলাই তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের আবেগ। মানুষ কতটা স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দিয়েছেন, সেটা কালকের ভিড়ই বলে দিয়েছে। বিজেপি-কে তো প্রধানমন্ত্রীর সভা করতে হয় আলিপুরদুয়ারে গিয়ে, যাতে অসম থেকে লোক আনা যায়।” এই ভিডিয়ো প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “এটি সামাজিক মাধ্য়মে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়ো, যার সত্যতা যাচাই হয়নি।”