
বরাহনগর: পুলিশের বিরুদ্ধে লরি চালকের কাছ থেকে টাকা তোলার অভিযোগ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি ভিডিয়ো। যেখানে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে এক মহিলার পা ধরে ক্ষমা চাইতে দেখা যায়। কেঁদেও ফেলেন ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। এমনকি, এক পুলিশ অফিসারকেও ওই মহিলার কাছে হাতজোড় করতে দেখা যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়োটি ভাইরাল হতেই পদক্ষেপ করল ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। বরাহনগর থানার ওই এসআই পুলকেশ পাত্রকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হল।
লরি থেকে টাকা তোলার ঘটনাটি ঘটেছে বরাহনগর থানার অন্তর্গত বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে। এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে হুস করে বেরিয়ে যাচ্ছে লরি। রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে পুলিশের গাড়ি। গাড়িতে বসে বরাহনগর থানার এসআই পুলকেশ পাত্র। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে এক সিভিক ভলান্টিয়ার। অভিযোগ, লরির চালকদের কাছ থেকে তোলা তুলছিলেন তাঁরা।
সেইসময় রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন ওই মহিলা। তিনি ঘটনার প্রতিবাদ করেন। এসআইয়ের সঙ্গে তাঁর বাকবিতণ্ডা বাধে। লরি থেকে কেন টাকা তোলা হচ্ছে, জানতে চান ওই মহিলা। প্রথমে মহিলাকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন এসআই। কিন্তু, মহিলাও ছাড়ার পাত্রী নন। তিনি বুঝিয়ে দেন, তাঁর কাছে টাকা তোলার ভিডিয়ো রয়েছে। একসময় মহিলার পা ধরতে দেখা যায় সিভিক ভলান্টিয়ারকে। ওই সিভিক স্বীকার করেন, পুলিশ অফিসারের নির্দেশেই টাকা নিচ্ছিলেন। যদিও এসআই পুলকেশ পাত্র প্রথমে বলেন, তিনি সিভিক ভলান্টিয়ারের টাকা নেওয়ার বিষয়টি কিছুই জানেন না। বিতণ্ডা আরও বাড়ার পর মহিলার কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চান ওই এসআই।
সিভিক ভলান্টিয়ার ও পুলিশের ক্ষমা চাওয়ার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এরপরই ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট অভিযুক্ত এসআইয়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে। তাঁকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে।
পুলিশের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ নিয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, “বাংলার মানুষ জেগে উঠছেন, প্রতিবাদ করছেন, এটাই একটা ভাল দিক। তৃণমূল সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ডবল ডবল চাকরি হবে। আর আমরা দেখলাম, সিন্ডিকেট ও তোলাবাজির ইন্ডাস্ট্রিটা উনি সুন্দরভাবে পশ্চিমবঙ্গে এনেছেন।” কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “তোলাবাজির ইন্ডাস্ট্রি, সিন্ডিকেটের ইন্ডাস্ট্রি কি কম বড় ইন্ডাস্ট্রি? এটাই চলছে।”
প্রতিবেদনটি TV9 বাংলার রিপোর্টার প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে লেখা।