উত্তর ২৪ পরগনা: ভারত থেকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ পাচারের সময় নদীতে তলিয়ে মৃত্যু হল যুবকের। সীমান্তের জিরো পয়েন্টে বিএসএফ-বিজিবি এর ফ্ল্যাগ মিটিং, নিখোঁজ যুবকের দেহ ফিরে পেল পরিবার। বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার বিথারি-হাকিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দহরকন্দা এলাকার ঘটনা। বছর আঠাশের ওই যুবকের নাম আলমগির মোল্লা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩১শে ডিসেম্বর রবিবার বিকাল সাড়ে চারটে নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান আলমগির। পরিবারের দাবি, তারপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পরিবারের লোক স্বরূপনগর নগর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তারপর থেকে তাঁর খোঁজ শুরু করে স্বরূপনগর থানার পুলিশ ও বিএসএফ।
তদন্তে জানা যায়, নিষিদ্ধ কাপ সিরাপ ফেনসিডিল বাংলাদেশে পাচারের জন্য সীমান্তের সোনাই নদীর কচুরিপানা ভর্তি জলে নেমেছিলেন ওই যুবক। সেখানেই কোনও কারণে তলিয়ে যান তিনি। এই নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য শুরু হয় এলাকায়। যুবকের দেহ সোনাই নদীতে থাকতে পারে সন্দেহ করে বিএসএফ। তারপর আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে সোনাই নদীর বুকে বাংলাদেশের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের আধিকারিকদের মধ্যে ফ্ল্যাগ মিটিং হয়।
সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ওই যুবকের খোঁজে তল্লাশি চালানো হবে সোনাই নদীতে। সেই সিদ্ধান্ত মতো স্বরূপনগর থানার পুলিশ ও বসিরহাটের এসডিআরএফের প্রতিনিধিরা সোনাই নদীতে তল্লাশি চালায়। অবশেষে সোনাই নদী থেকে উদ্ধার হয় আলমগিরের মৃতদেহ। মৃতদেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে ১০০ বোতল ফেনসিডিল ভর্তি বস্তা।
মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালের পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ধৃত যুবকের পরিবারের সদস্যরা জানান, তিনি সন্ধ্যায় বাজার করতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তাঁর আর খোঁজ পাওয়া যায় না। কী করে সোনাই নদীতে তাঁর মৃতদেহ পাওয়া গেল? সেই প্রশ্নই তুলছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা।