বসিরহাট: সীমান্তে ইতঃস্তত ঘুরতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এই গরমেও গায়ে ছিল চাদর। দুঁদে কর্তাদের নজর পড়েছিল। গরমে চাদর কেন! সন্দেহ হয়েছিল কর্তাদের। তাঁকে ডেকে প্রশ্ন করতেও উত্তর মিলছিল না সঠিকভাবে! সন্দেহ হওয়ায় চলে তল্লাশি। আর তাতেই পর্দাফাঁস। উদ্ধার তিন লক্ষেরও বেশি টাকা। গ্রেফতার করা হয় ওই ব্যক্তিকে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম শহিদুল ইসলাম। তিনি এলাকায় সিপিএম নেতা বলেও পরিচিত। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের স্বরূপনগরের হাকিমপুর সীমান্তের ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শহিদুল ইসলাম নামে ওই ব্যক্তির গায়ে চাদর জড়িয়ে, তার নীচে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা পাচার করছিল। উদ্ধারের পর জানা যায়, সেগুলি সবই বাংলাদেশি নোট। তদন্তকারীরা মনে করছেন, টাকা ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচার করার চেষ্টা চলছিল। বিএসএফের ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়নের সীমান্তরক্ষী বাহিনী জওয়ানরা ওই যুবককে আটক করে।
হাকিমপুর চেকপোস্ট থেকে ওই পাচারকারীকে আটক করে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। জেরায় শহিদুল ইসলাম জানিয়েছে, তাঁর বাড়ি স্বরূপনগরের বিথারী হাকিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিথারী এলাকায়।ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে বিএসএফ ও স্বরূপনগর থানার পুলিশ। টাকা পাচারের ঘটনায় সিপিএম কর্মী গ্রেফতার হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই ব্যাপারে সন্দেশখালির সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দার বলেন, “আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। আমি গোটা বিষয়টি জেনে তারপর বলব।”