Basirhat: মধ্যরাতে এক সঙ্গীতপ্রেমীর কীর্তিতে নিঃস্ব HOICHOI-এর মালিক!
Basirhat: পরের দিন সকালে এলাকারই একটি পুকুর থেকে বেশ কয়েকটি গিটার উদ্ধার হয়। তাতে মনে করা হচ্ছে, অভিযুক্তই পুকুরে গিটার ফেলে পালিয়ে গিয়েছেন। তার সঙ্গে নগদ কুড়ি হাজার টাকাও অবশ্য নিয়ে গিয়েছেন।
বসিরহাট: রেস্তোরাঁয় চুরি করতে ঢুকে বাদ্যযন্ত্র নিয়ে পালালেন গুণধর ‘চোর’। সঙ্গীতপ্রেমী চোরের এই কাণ্ড দেখে হতবাক টাকি শহরের মানুষ। বসিরহাটের হাসনাবাদ থানার টাকি পৌরসভার ৫নম্বর ওয়ার্ডের টাকি কেন্দ্রীয় পাঠাগারের বিপরীতে এক নামী রেস্তোরাঁয় চোরের এই অভিনবকাণ্ড শোরগোল ফেলেছে মানুষের মধ্যে। রেস্তোরাঁর নাম হইচই ক্যাফে। সেখানে প্রতি সন্ধ্যাতেই অনুষ্ঠান হয়। সঙ্গীতপ্রেমীরা আসেন। চা কফি, স্ন্যাক্সের সঙ্গে গানও শোনেন। সেটাই বিশেষত্ব। সেই রেস্তোরাঁতেই চুরি হয়, হাজার হাজার টাকা, অন্যান্য দামী সামগ্রী থাকলেও, চুরি যায় বাদ্যযন্ত্র, তেমনই অভিযোগ রেস্তোরাঁ মালিকের।
দোকানের মালিক সূত্রে জানা গিয়েছে, জানলার কাচ ভেঙে চোর দোকানে প্রবেশ করেন। নিয়ে যায় বেশ কয়েকটি গিটার, সাউন্ড সিস্টেম, হোম থিয়েটার ও একটি টিভি। যেগুলি মূলত রেস্তোরাঁয় আগত খাদ্যপ্রেমীদের মনোরঞ্জনের জন্য ব্যবহার করা হত।
পরের দিন সকালে এলাকারই একটি পুকুর থেকে বেশ কয়েকটি গিটার উদ্ধার হয়। তাতে মনে করা হচ্ছে, অভিযুক্তই পুকুরে গিটার ফেলে পালিয়ে গিয়েছেন। তার সঙ্গে নগদ কুড়ি হাজার টাকাও অবশ্য নিয়ে গিয়েছেন।
গোটা বিষয়টিতে অত্যন্ত স্তম্ভিত রেস্তোরাঁর মালিক-সহ অন্যান্য কর্মীরা। তাঁর বক্তব্য, টাকা ছিল আরও কিছু। কিন্তু চোর এভাবে বাদ্যযন্ত্র নিয়ে পালাবে, সেরকম তো ভাবা যায় না। সিসিটিভি ফুটেজ ঘেটে দেখা গিয়েছে, মাঝরাতে রেস্তোরাঁয় ঢুকেছিলেন সেই গুণধর। দোকান থেকে একে একে বাদ্যযন্ত্র চুরি করে চম্পট দেন।
দোকানের মালিক সঞ্জীব দাস, হাসনাবাদ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তারপর তাঁকে গ্রেফতারও করা হয় ওই রেস্তোরাঁর সামনে থেকে।
জানা গিয়েছে, গুণধরের নাম হোসেন গাজি, বাড়ি বসিরহাটের সংগ্রামপুরে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই হোসেন গাজি বেশ কিছু বছর আগে ওই রেস্তোরাঁতেই কাজ করতেন। কিন্তু তার অভব্য আচরণের জন্য কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এবং আক্রোশের জেরেই তিনি এই কাজ করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
যদিও এই ঘটনার জেরে রেস্তোরাঁর নগদ ২০,০০০ টাকা সহ মোট প্রায় এক লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু অন্যান্য সামগ্রী থাকা সত্ত্বেও কেন এই চোর বাদ্যযন্ত্রই চুরি করল, কিংবা নষ্ট করল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। তাহলে কি কোনও সঙ্গীতপ্রেমিই তাঁকে এই রেস্তোরাঁয় চুরি করতে বাধ্য করেছিলেন? ধৃতকে জেরা করছে পুলিশ।