বসিরহাট: একই রুটের পুরনো ও নতুন অটোচালকদের ‘গোষ্ঠীকন্দোল’। বন্ধ অটো পরিষেবা, নাকাল যাত্রীরা, প্রতিবাদে বিক্ষোভ। বসিরহাট হিঙ্গলগঞ্জ বিধানসভার বিশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পার হাসনাবাদ থেকে বিশপুর ও বাইলানি-রূপমারি দুটি অটো রুট রয়েছে। অটো ইউনিয়নের চালকদের অভিযোগ, নতুন অটো রুট চক্রান্ত করে চালু করা হয়েছে। যার কারণে পুরনো অটো রুটের চালকরা রুজি রোজগার হারাতে বসেছে। এদিকে, আবার যাঁদের মধ্যে বিবাদ, তাঁরা প্রত্যেকেই এলাকায় তৃণমূলের কর্মী সমর্থক বলে পরিচিত। যার জেরে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছে। অটো চালকদের এক পক্ষের অভিযোগ, যাত্রী হচ্ছে না, উপার্জন কমে গিয়েছে।
এই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই চাপানউতোর চলছিল। দু’পক্ষের মধ্যে বিবাদও হয়েছে। সোমবার বিষয়টি আরও বেশি করে মাথাচাড়া দেয়। পুরনো অটো রুটের চালকরা নতুন অটো রুটের অটো ভাঙচুর করে চালকদের মারধর করে বলে অভিযোগ। নতুন করে গত ৩ মে হাসনাবাদ ও খুলনা রুটে ৪০টি অটো চালানোর জন্য উদ্বোধন করা হয়। তারপর থেকে নতুন ও পুরাতন অটো রুটের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে। হাসনাবাদ থেকে খুলনা পর্যন্ত প্রায় ৪০কিলোমিটার এই রুটে অটো চলতে শুরু করলে সোমবার সন্ধ্যায় বিশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে পুরনো অটো চালকরা পরিষেবা বন্ধ রেখে রাস্তার উপর বিক্ষোভ প্রতিবাদ করতে শুরু করেন।
সেই সময় নতুন রুটের অটোচালকরা ওই এলাকা দিয়ে গেলে, তাঁদের মারধর করে অটো ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয়, এলাকায় যেতে বাধ্য হন তৃণমূল বিধায়ক। বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল এলাকায় ঢুকতেই তাঁকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন অটো চালকরা।
অভিযোগ, তৃণমূলেরই এক পক্ষের তরফ থেকে বিধায়ককে দেখে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হাসনাবাদ থানার পুলিশ। যদিও এই নিয়ে বিধায়ক কোনও মন্তব্য করতে চাননি। পাশাপাশি ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা সদস্যরাও এ নিয়ে মুখ খোলেননি। এর জেরে নতুন রুটে অটো চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এক পক্ষের অটোচালক বলেন, “নতুন রুটে অটো হওয়ায় আমাদের তো যাত্রী কমে যাচ্ছে। এভাবে নতুন রুট শুরু করার আগে কোনও কথাবার্তাও হয়নি। সমস্যা তো হবেই।” আরেক পক্ষের চালকরা বলেন, “আমাদের অটোর পারমিট রয়েছে। নতুন রুট তো হবেই। তা নিয়ে এত সমস্যার কী আছে। আমাদের চালকদের গালিগালাজ করা হচ্ছে। মারধর করে অটো ভেঙে দিয়েছে। এর দায় কে নেবে? “