Bharati Ghosh: ‘ধর্মগ্রন্থে হাত রেখে বলানো হত তৃণমূলকেই ভোট দিতে’, সন্দেশখালি থেকে ফিরে বিস্ফোরক অভিযোগ ভারতীর
Sandeshkhali: ভারতী বলেছেন, "সন্দেশখালিতে আমরা একটা লিগ্যাল ক্যাম্প করব। সেখানে যা অভিযোগ আসবে। তা হাইকোর্টে আমরা নিয়ে যাব। আবেদন করব যাতে সারদার মতো একসঙ্গে সবটা করে কমপাইল করে শেখ শাহজাহান সংক্রান্ত মামলা শোনা হয়।"
সন্দেশখালি: শুক্রবার সন্দেশখালিত গিয়েছিলেন বিজেপি মহিলা মোর্চা নেত্রী ভারতী ঘোষ। জেলিয়াখালি সহ একাধিক এলাকায় ঘুরে দেখেন তিনি। তারপরই একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন। বললেন, স্কুলগুলিকে পার্টি অফিস বানিয়ে ফেলেছে তৃণমূল। তার মধ্যে মহিলাদের ডেকে এনে চলছে অত্যাচার। গ্রামের যুবকদের দিয়ে বৃদ্ধদের মারধর করা হচ্ছে।
এ দিন, ভারতী তোলেন বিস্ফোরক অভিযোগ। বলেন, “আমায় ওইখানকার মানুষ বলছেন ২০১১ সাল থেকে কোনও ভোট দিতে পারেননি। এমনকী তৃণমূলের লোকজন ধর্মগ্রন্থে হাত দিয়ে তাঁদের শপথ করাতেন যে তাঁরা যেন তৃণমূলেই ভোট দেন। তা না মানলে অত্যাচার করা হত।”
ভারতী বলেছেন, “সন্দেশখালিতে আমরা একটা লিগ্যাল ক্যাম্প করব। সেখানে যা অভিযোগ আসবে। তা হাইকোর্টে আমরা নিয়ে যাব। আবেদন করব যাতে সারদার মতো একসঙ্গে সবটা করে কমপাইল করে শেখ শাহজাহান সংক্রান্ত মামলা শোনা হয়।” বিজেপি নেত্রী প্রশ্ন তুলেছেন, কেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে গেলেন না। বলেছেন, “একজন মহিলাও কেন গেলেন না সন্দেশখালিতে? তৃণমূলে তো এতজন মহিলা রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং মহিলা। নারী শিশু কল্যাণ মন্ত্রী মহিলা। আরও মহিলা মন্ত্রী রয়েছেন। অনেক অভিনেত্রী রয়েছেন। দিদি নম্বর ওয়ান রয়েছেন। কেন গেলেন না? না হয় বেরিয়ে এসে বলতেন সব মিথ্যা। তাও কেন গেলেন না।” এখানেই শেষ নয়, বিজেপি নেত্রীর হুংকার, “আজ আমরা যে যে নাম পেয়েছি। সব নাম সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেব। সিবিআই তদন্ত করবেন।”