গাইঘাটা: সিএএ (CAA), এনআরসি (NRC), এনপিআর (NPR) নিয়ে কোভিড অতিমারির আগে উত্তাল হয়েছিল দেশ। এ রাজ্যেও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল। তার পর থেকে কিছুটা হিমঘরেই চলে গিয়েছে সিএএ, এনআরসি সংক্রান্ত আলোচনা। এনআরসি-র বিষয়টি তেমন উল্লেখ না করলেও এ রাজ্যের বিজেপি নেতারা সিএএ চালুর বিষয়ে প্রায়শই সরব হন। রবিবার কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের গলায় ফের শোনা গেল সিএএ প্রসঙ্গ। নাগরিকত্ব প্রদানের এই আইন ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগেই চালু হবে বলে আশা করলেন বিজেপি সাংসদ শান্তনু। রবিবার বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের গাইঘাটার ছেকাটি ডিঙ্গামানি থেকে তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বাইক মিছিলের আয়োজন করে বিজেপি। বাইক মিছিলের উদ্বোধন করে কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur)। নিজে বাইক চালিয়ে মিছিলে অংশও নেন তিনি।
বাইক মিছিল কর্মসূচির শেষে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সরব হন শান্তনু। তিনি বলেন, “রাজ্য সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদে আজকের এই বাইক মিছিল। মানুষকে উজ্জীবিত করার জন্য এই মিছিল। পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান সরকারের পঞ্চায়েতে লাগাতার দুর্নীতি। সেই দুর্নীতিকে প্রতিহত করার জন্য মানুষ মুখিয়ে আছে। তার প্রতিফলনের রূপই হচ্ছে আজকের বাইক ব়্যালি। মানুষ সমবেত হয়ে মানুষ চাইছে দুর্নীতি চায় না, স্বচ্ছ ভারত চায়।” এর পরই আসে সিএএ প্রসঙ্গ। এ প্রসঙ্গে তিনি মতুয়া সম্প্রদায় থেকে আসা জনপ্রতিনিধি শান্তনু বলেছেন, “সিএএ একটি জটিল অবস্থায় আসে। সুপ্রিম কোর্টে আটকে আছে। আদালতের রায় না দিলে সরকার এটা করতে পারে না। আশা করছি ২০২৪ সালের মধ্যে তা পরিষ্কার হয়ে যাবে। সিএএ চালু করা যাবে।”
সিএএ প্রসঙ্গ শান্তনু ঠাকুরের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর বলেছেন, “তাঁদের এই কথা শুনে শুনে মানুষের বিশ্বাস উঠে যাবে। এতদিন বললেও দিতে পারেনি। ২০২৪ আগে শুরু করতে গেলে তা যদি নিঃশর্ত না হয়, মানুষ রাস্তায় নামবে। প্রতিবাদ করবে।”