
অশোকনগর: গত সোমবার দুপুরে অশোকনগর থানার ভুরকুন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের দোগাছিয়া এলাকার রাস্তার পাশের ডোবা থেকে উদ্ধার হয় অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের দেহ। এরপর তদন্তে নামে অশোকনগর থানার পুলিশ প্রশাসন। মৃত যুবকের প্যান্টের পকেট থেকে উদ্ধার হয় নন্দীগ্রাম থেকে কলকাতা যাওয়ার একটি বাসের টিকিট।
সেই টিকিটের সূত্র ধরেই অশোকনগর থানার পুলিশ নন্দীগ্রাম থানার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়া হয় ওই যুবকের ছবি। অবশেষে মৃত যুবকের পরিবার খুঁজে পায় পুলিশ। জানা যায়, বছর ৩৩-এর ওই মৃত যুবকের নাম শেখ নূর আলম। তিনি পেশায় সেনাকর্মী ছিলেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম থানার কাঞ্চননগর এলাকায় তাঁর বাড়ি বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
বুধবার মৃতের বাবা শেখ সিরাজুল ইসলাম প্রতিবেশীদের সঙ্গে নন্দীগ্রাম থেকে অশোকনগর থানায় যান। ছেলের দেহ এবং পোশাক শনাক্ত করেন তিনি। পরে অশোকনগর থানার পক্ষ থেকে শেখ নূর আলমের দেহ তাঁর বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয়।
মৃতের বাবা জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে প্রাক্তন সিআরপিএফ সেনাকর্মী। মানসিকভাবে একটু বিপর্যস্ত ছিলেন বলে জানান তাঁর বাবা। বেশ কয়েক বছর ধরে এরকমই চলছিল। বাড়িতে না বলেই যেখানে-সেখানে চলে যেতেন তিনি, আবার বাড়ি ফিরে যেতেন!
গত সপ্তাহের শনিবার বাড়ি থেকে বেরনোর পরে আর বাড়ি ফেরেননি শেখ নূর আলম। কোনও যোগাযোগও করেননি তিনি। বুধবার সেই ছেলের ক্ষতবিক্ষত নিথর দেহ নিয়ে বাবা ফিরে যান। মৃতের বাবা শেখ সিরাজুল ইসলাম সবশেষে একটা কথাই বলেন, ‘ছেলেকে যারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে, পুলিশ সঠিক তদন্ত করে দোষীদের কঠিন শাস্তি দিক।’