বসিরহাট: গলার নলি কাটা। ঝলসে গিয়েছে মুখের এক পাশ। কাকরোল ক্ষেতের মাঝে পড়ে ছিলেন বছর উনিশের এক তরুণী। পাশে চাপ চাপ রক্ত। শুকিয়ে তা জমাট বেঁধেছে। সাতসকালে সীমান্তবর্তী এলাকায় ক্ষেতের মধ্যে থেকে এক তরুণীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য বসিরহাটের স্বরূপনগরে। ওই তরুণী বাংলাদেশি কিনা, তা নিয়েও ধন্দ রয়েছে। আপাতত দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। তরুণীর ওপর শারিরীক নির্যাতন হয়েছিল কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় চাষিরা ক্ষেতে কাজ করতে এসেছিলেন। কখনও ক্ষেতের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই তরুণীকে পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, যুবতীর গলার নলি কাটা ছিল। তাঁর মুখও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মৃতদেহের পাশ থেকে মোবাইল ফোনও পাওয়া গিয়েছে। পড়েছিল একটা ব্যাগ, একটি ফেশওয়াশের বোতল, পেস্ট, লিপস্টিক। উদ্ধার হয়েছে একটি চশমা।
ওই তরুণী বাংলাদেশের বাসিন্দাও হতে পারেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এখনও পর্যন্ত তরুণীর পরিচয় জানা যায়নি। তদন্তকারীরা মনে করছেন, প্রমাণ লোপাট করতেই মুখ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বসিরহাট জেলা হাসপাতালে দেহটির ময়নাতদন্ত হচ্ছে।
ওই তরুণী আদৌ সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে ঢুকেছিলেন কিনা? নাকি কোনও পাচারচক্রের খপ্পরে পড়েছিলেন, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে স্বরূপনগর থানার পুলিশ বিএসএফের ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়নের সীমান্তের আধিকারিকদেরও জানিয়েছেন।