Bengali Teacher: বাংলা শিক্ষিকা ছাঁটাইয়ে তপ্ত বেলঘড়িয়া, মদনের সঙ্গে বৈঠক শেষে শিক্ষিকাকে কাজে আসার আহ্বান

Belgharia School: ওই শিক্ষিকা যাতে সসম্মানে আবার স্কুলের কাজে যোগ দেন, সেই অনুরোধও স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে করা হয়েছে বলে জানান কাউন্সিলর।

Bengali Teacher: বাংলা শিক্ষিকা ছাঁটাইয়ে তপ্ত বেলঘড়িয়া, মদনের সঙ্গে বৈঠক শেষে শিক্ষিকাকে কাজে আসার আহ্বান
মদনের বাড়িতে বৈঠক স্কুল কর্তৃপক্ষ ও বাংলার শিক্ষিকার

| Edited By: Soumya Saha

Mar 20, 2023 | 7:52 PM

বেলঘড়িয়া: বেলঘড়িয়ার (Belgharia) ইংরেজি মিডিয়াম স্কুল (English Medium School) থেকে বাংলা শিক্ষিকাকে ছাঁটাই নিয়ে বিতর্ক লেগেই রয়েছে। ঘটনাটি প্রথম প্রকাশ্যে আসে শনিবার। তারপর থেকে ক্রমেই বেড়েছে বিতর্কের আঁচ। মূলত দুটি ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিতর্ক। প্রথমত, একজন শিক্ষিকাকে হঠাৎ চাকরি থেকে বসিয়ে দেওয়া। দ্বিতীয়ত, ওই শিক্ষিকাকে ছাঁটাইয়ের যে চিঠি পাঠানো হয়েছে, সেখানেও ভুল। বাংলার ‘পড়ুয়ার সংখ্যা’ প্রায় নেই লিখতে গিয়ে, ভুল করে স্কুল কর্তৃপক্ষ লিখে ফেলেছিল বাংলা ‘ভাষা’ প্রায় নেই। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের থেকে সেই ভুল সংশোধন করে পুনরায় শিক্ষিকাকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল, তবে বিতর্ক কমার লক্ষণ নেই। সোমবার বেলা গড়াতেই বাংলা পক্ষের তরফে ওই বেসরকারি ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরিস্থিতি সামলাতে ঘটনাস্থলে যায় বেলঘড়িয়া থানার পুলিশ। আটকও করা হয় বেশ কয়েকজনকে। বাংলা পক্ষের তরফে গর্গ চট্টোপাধ্যায় হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, ‘বাঙালি কিন্তু গরম হয়ে যাচ্ছে। বাঙালি কিন্তু এগুলি একদম ভালভাবে নিচ্ছে না।’

এদিকে ওই বেসরকারি স্কুলকে বিতর্কের মধ্যেই সোমবার কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র সংশ্লিষ্ট দুই পক্ষকে ডেকে আলোচনায় বসেন। সেখানে স্কুলের ইনচার্জ এবং ওই বাংলার শিক্ষিকার পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর দীপাংশু ঘোষালও। সকলকে নিয়ে আলোচনা করে বিষয়টির মীমাংসা করে দেন তিনি। এদিকে ওই স্কুল চত্বরে এদিনের বিক্ষোভের ঘটনা নিয়েও কটাক্ষ করেছেন মদন মিত্র। তাঁর স্পষ্ট কথা, স্কুলের গেট ঝাঁকিয়ে বা স্কুলের সামনে কোনও বিক্ষোভ দেখানো যাবে না। এমন হলে আগামী দিনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিবাদে পথে নামবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। বিধায়ক পাল্টা বলেন, ‘বাংলার জন্য আমিও আছি। আমিও বাংলার। বাংলা বাংলা করে গিয়ে স্কুলের বাইরে স্লোগানিং করে বাচ্চাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা হয়, তাহলে তৃণমূল রাস্তায় নেমে যাবে। স্কুলের গেটে কোনও গুন্ডামি, মস্তানি বরদাস্ত করব না।’

মদন মিত্রর সঙ্গে আলোচনা শেষে স্থানীয় কাউন্সিলর দীপাংশু ঘোষাল জানান, স্কুলের ইনচার্জ ওই বাংলার শিক্ষিকার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। ওই শিক্ষিকা যাতে সসম্মানে আবার স্কুলের কাজে যোগ দেন, সেই অনুরোধও স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে করা হয়েছে বলে জানান কাউন্সিলর। যদিও ওই শিক্ষিকা শেষ পর্যন্ত স্কুলে আবার যোগ দেবেন কি না, তা এখনও জানা যায়নি। কাউন্সিলর জানাচ্ছেন, সেটি তাঁর (শিক্ষিকার) ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।

উল্লেখ্য, গতকাল টিভি নাইন বাংলার প্রতিনিধিকে ওই স্কুল শিক্ষিকা জানিয়েছিলেন, তিনি ওই স্কুলে ফিরতে চান না। তাঁর বক্তব্য ছিল, যে বিষয়টি তিনি পড়ান, সেই বিষয়টির যখন কোনও সম্মান নেই, তাই সেখানে পড়ানোর কোনও মানেই হয় না। যদিও এদিন বিধায়ক মদন মিত্রর মধ্যস্থতায় বিষয়টি মিটমাটের পর শিক্ষিকা তাঁর সিদ্ধান্ত বদল করবেন কি না, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়।