কামারহাটি : হাসপাতালের গাফিলতির কারণে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে উত্তাল হল হাসপাতাল। শ্বাসকষ্টের সমস্যা হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল রোগীকে। কিন্তু ইসিজি করার আগে নীচে নামানোর সময়ই রোগীর মৃত্যু হয়ে বলে অভিযোগ। রোগীর পরিবারের দাবি, ভুল চিকিৎসার কারণেই মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগ জানাতে গেলে রোগীর পরিবারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। বুধবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটির (Kamarhati) সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। এমার্জেন্সিতে কর্তব্যরত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে খারাপ ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে।
মৃতের পরিবারের দাবি, বাড়িতে বুকে ব্যথা এবং শ্বাসকষ্ট হওয়ায় কামারহাটির বাসিন্দা ওই ব্যক্তিকে পাশের ফ্ল্যাটের এক প্রতিবেশী বাইকে করে সাগর দত্ত হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে নিয়ে যান। এমার্জেন্সিতে কর্মরত চিকিৎসক তাঁকে একটি ইঞ্জেকশন দেন বলে জানিয়েছেন ওই প্রতিবেশী। এরপর চতুর্থ তলায় নিয়ে যেতে বলা হয়। অভিযোগ, রোগীকে সেখানে নিয়ে যেতে সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার এবং কর্মীরা বলেন ইসিজি করতে। নিজেরা গিয়ে ইসিজি করিয়ে আসতে হবে বলেও জানান তাঁরা। নীচে নিয়ে যাওয়ার সময়ই সেই রোগীর মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে।
মৃত রোগীর নাম মোহম্মদ আলম, বয়স ৪৯। তিনি কামারহাটির ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। এই অভিযোগ সামনে আসার পরই মৃতের প্রতিবেশীদের সঙ্গে হাতাহাতি বেঁধে যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের সঙ্গে। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, এমার্জেন্সিতে নিয়ে আসা হয় ডাক্তার দেখানোর জন্য, সেই সময় চিকিৎসকরা খারাপ ব্যবহার করে এবং মোবাইল ফোন ছুড়ে ফেলে ভেঙে দেয়। ইনজেকশন দেওয়ার পরেই রোগীর অবস্থা অবনতি হয় বলেই দাবি তাঁদের।
বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্তের পর রোগীর পরিবারের হাতে মৃতদেহ তুলে দেওয়া হবে। কামারহাটি অঞ্চলের মানুষের অভিযোগ, পরপর রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে ওই হাসপাতালে। ভুক্তভোগীদের প্রশ্ন, এত বড় একটি মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি কবে হবে?