সীমান্ত থেকে উদ্ধার আড়াই লাখ টাকার গর্ভনিরোধক ওষুধ ও ইঞ্জেকশন
ভারতে দাপিয়ে বাড়ছে গর্ভনিরোধক বড়ির পাচার চক্র, ফের উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ ওষুধ ও ইঞ্জেকশন
উত্তর ২৪ পরগনা: বহুদিন থেকেই ভারতে রমরমিয়ে চলছে গর্ভনিরোধক ট্যাবলেটের পাচার চক্র। বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে ভারতে ঢোকে গর্ভনিরোধক ট্যাবলেট ‘সুখী’। শুক্রবার দক্ষিণ বঙ্গ সীমান্তের অধীনে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের জওয়ানরা অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করলেন বিপুল পরিমাণ এই গর্ভনিরোধক বড়ি ও স্বস্তি ইঞ্জেকশন (Contraceptive pills and Sashti injection)।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার খাজুরি থানার অন্তর্গত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা থেকে ১১ হাজার ৫০০ সুখী ট্যাবলেট এবং ৩৮০টি স্বস্তি ইঞ্জেকশন উদ্ধার করেছেন ১৫৩ ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা। জানা গিয়েছে, আগে থেকেই বিএসএফের কাছে খবর ছিল এই পাচার অভিযানের। সেই অনুযায়ী ১২ ফেব্রুয়ারি অভিযান চালায় তারা। তবে কোনও পাচারকারীকে আটক বা গ্রেফতার করা যায়নি। পুলিশ সূত্রে খবর, সার্চ অপারেশনের সময় কোনও মানুষকে পাওয়া যায়নি সংশ্লিষ্ট এলাকায়। তবে মাটিতে পুঁতে রাখা দুটি প্লাস্টিক ব্যাগ উদ্ধার হয়। তাতে ১১ হাজার ৫০০ সুখী ট্যাবলেট ও ৩৮০ টি গর্ভনিরোধক ইঞ্জেকশন পাওয়া যায়। এদের একত্রে আনুমানিক মূল্য ২ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা বলে জানা গিয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা ওষুধ ও ইঞ্জেকশন তেঁতুলিয়া শুল্ক অফিসের হাতে তুলে দিয়েছে বিএসএফ।
আরও পড়ুন: কালর্ভাটের নীচ থেকে উদ্ধার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ভারতীর দেহ, মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা
প্রসঙ্গত, লকডাউন পরবর্তীতে এই ওষুধ পাচার চক্র বেশ সক্রিয় হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বেশ কিছু দিন আগে সীমান্ত থেকে পাঁচ লক্ষ সুখী ট্যাবলেট এবং সুপুরি আটক করেছিল বিএসএফ। বছর দুয়েক আগে এক সরকারি সমীক্ষায় উঠে আসে, বাংলাদেশে বিনামূল্যে দেওয়া সুখী গর্ভনিরোধক বড়ি অসম, বাংলা ইত্যাদি রাজ্যে চালান করা হয়। এখানে এর এক পাতা ওষুধের দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা। বাজারচলতি গর্ভনিরোধক বড়ির দাম যেখানে ৭৫ থেকে ১০০ টাকা সেখানে গ্রামাঞ্চলগুলিতে সুখী-কেই আপন করে নিচ্ছেন মহিলারা। কিন্তু যেহেতু এই ওষুধের রাসায়নিক গঠন ভারতীয় পরীক্ষাগারে যাচাই করা হয় না, তাই সুখী না খাওয়াই বাঞ্ছনীয় বলে মনে করেন ওয়াকিবহাল মহল।